আজ মধ্যরাত থেকে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে টালা সেতু। শুরু হবে ভাঙার কাজ। সেতু বন্ধ থাকলে কোথা দিয়ে গাড়ি চলাচল করবে, তা নিয়ে আলোচনা হয়।গতকাল বিকেলে টালা সেতু সংলগ্ন এলাকা ঘুরে দেখেন যুগ্ম কমিশনার ট্রাফিক সন্তোষ পাণ্ডে।
আপাতত ঠিক হয়েছে, ডানলপ মোড় থেকে শ্যামবাজারগামী বাস যে রাস্তায় চলাচল করত, সেই রাস্তা দিয়েই যাবে। অর্থাৎ বিটি রোড দিয়ে চিড়িয়া মোড় পর্যন্ত আসবে বাস। সেখান থেকে বাঁ-দিকে ঘুরে সেভেন ট্যাঙ্কস থেকে ডানদিকে যাবে। তারপর নর্দান অ্যাভিনিউ হয়ে মিল্ক কলোনিতে উঠবে। সেখানে থেকে বেলগাছিয়া সেতু দিয়ে শ্যামবাজারে পৌঁছাবে। ছোটো গাড়িগুলিও ওই রাস্তা ব্যবহার করবে।
অন্যদিকে, ধর্মতলা থেকে ব্যারাকপুরগামী বাস ও ছোটো গাড়িগুলি সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, রাজবল্লভপাড়া হয়ে লকগেট রোড উড়ালপুল ধরবে। শিয়ালদহ থেকে ডানলপগামী বাস ও ছোটো গাড়িগুলি শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড় থেকে বাঁ-দিকে যাবে। ভূপেন বসু অ্যাভিনিউ ধরে রাজবল্লভপাড়া হয়ে লকগেট রোড উড়ালপুলে উঠবে। সেখান থেকে চিড়িয়ামোড় হয়ে ডানলপের দিকে যাবে।
প্রসঙ্গত, টালা সেতু জট কাটাতে গতকাল ফেয়ারলি প্লেসে পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার সুনীত শর্মার সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব রাজীব সিং-সহ রাজ্যের প্রশাসনিক আধিকারিকরা। রেল ও রাজ্যের মধ্যে সমন্বয়ের জন্য যৌথভাবে টাস্ক ফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। ভারী যান চলাচলের জন্য লেভেল ক্রসিং তৈরির যে প্রস্তাব রেলের কাছে পাঠানো হয়েছিল রাজ্য, সে বিষয়েও দ্রুত অনুমতি মিলবে বলে আশা রাজ্যের।