অধীর চৌধুরী সতর্ক করেছিলেন। রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে হবে। কিন্তু ব্যক্তিগত আক্রমণ নয় বলেছিলেন কৌস্তভ বাগচীকে। আর তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, কৌস্তভের এই কাজের জন্য কংগ্রেস হাইকমান্ডের তাঁকে সাসপেন্ড করা উচিত। আর অনেকটা সেরকমই শাস্তি পেলেন কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী। কংগ্রেস হাইকমান্ড তাঁর উপর চরম অসন্তুষ্ট হয়েছেন বলে সূত্রের খবর। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কুৎসিত আক্রমণ বরদাস্ত করা হবে না বলে বাংলার নেতাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। নয়াদিল্লি সূত্রের খবর, কৌস্তভ নিজেকে সংশোধন না করলে তাঁকে মুখপাত্র–সহ সব পদ থেকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেবে দল বলেও জানানো হয়েছে।
কংগ্রেস সূত্রে খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ব্যক্তিগত কুৎসা করার কথা শুনে সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী বিরক্ত। যদিও তাঁরা কৌস্তভকে সেভাবে চেনেন না। তাই দিল্লির কড়া বার্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক ইস্যুতে তৃণমূলের কড়া সমালোচনা করা যেতে পারে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যক্তি আক্রমণ কখন করা যাবে না। পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করার ঘটনায় বিরোধিতা করা যেতে পারে। অকারণ আমিত্ব দেখাতে গিয়ে কৌস্তভের নেড়া হওয়াটাও হাস্যকর বলে মনে করছেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা।
এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতা ঘনিষ্ঠমহলে বলেছেন, কৌস্তভের নেড়া মাথায় ঘোল ঢেলে দিয়েছে কংগ্রেস হাইকমান্ড। মদন মিত্র বলেছেন, আগামী ৩০ বছর কৌস্তভকে ওভাবেই কাটাতে হবে। কারণ কৌস্তভ সরাসরি বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরানো না পর্যন্ত তিনি নেড়া থাকবেন। কৌস্তভ ছাত্র পরিষদের সাংগঠনিক নির্বাচনে সফল হতে পারেননি। পুরসভার ভোটেও নিজের এলাকার ওয়ার্ডে ভোটে লড়ে চতুর্থ হয়েছেন। পুলিশ গ্রেফতার করতেই কৌস্তভ বাড়তি প্রচার পেয়েছেন। সেখানে এমন আচরণ মেনে নেননি কংগ্রেস বলে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে, ফেসবুকে কৌস্তভের ছবির পিছনে নারীচরিত্র, স্বল্পবসনা নারীর সঙ্গে কৌস্তভ সেলফি—এসব পছন্দ নয় কংগ্রেসের। আবার পি চিদম্বরমকে যেভাবে কৌস্তভ অপমান করেছিলেন সেটাও মনে রেখেছিলেন কংগ্রেসের শীর্ষনেতারা। তাই এবার অধীর–সহ প্রদেশ কংগ্রেস নেতাদের বলে দেওয়া হয়েছে কৌস্তভকে সেন্সর করতে। ইতিমধ্যেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী সে কথা কৌস্তভকে জানিয়ে দিয়েছেন। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক কংগ্রেসের এক নেতা বলেন, ‘কৌস্তভকে সেন্সর করা হতোই। উনি আমিত্বে ভরা উগ্র রাজনীতি করেন। এভাবে কংগ্রেসে থাকা চলবে না। এসব চালাতে গেলে ওকে বিজেপিতে যেতে হবে।’