দিন কয়েক আগেই এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের সঙ্গে দেখা করে এসেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে ইউপিএর অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মমতা। এরপর এনিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর শোরগোল পড়ে যায়। সেই বিতর্কের রেশ কাটার আগেই এবার জাগো বাংলার সম্পাদকীয়তে লেখা হল, ডিপফ্রিজে কংগ্রেস। সেখানে লেখা হয়েছে, ‘সকালে ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের টুইট। জাতীয় কংগ্রেসের ধারাবাহিক ব্যর্থতা এবং নেতৃত্বের অপরিণামদর্শিতা নিয়ে সরাসরি রাহুল গান্ধীকে আক্রমণ। সবথেকে আশ্চর্যের বিষয় হল, কংগ্রেসের মধ্যে সেই উত্তাপ, ঝাঁঝটাই কমে গিয়েছে। দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে নিয়ে প্রশ্ন তোলার পরেও কোথায় আক্রমণ !’ দলের মুখপত্রে এভাবেই প্রশ্ন তুলে কার্যত উসকে দেওয়া হয়েছে কংগ্রেসকে।
সম্পাদকীয়র শেষ পর্যায়ে লেখা হয়েছে, ‘সবচেয়ে বড় বিরোধী দল হিসাবে কংগ্রেস যেন পার্টিকে ডিপফ্রিজে বন্দি করে রেখেছে। সামান্য লোক দেখানো আন্দোল ছাড়া নেতারা কার্যত ঘরবন্দি, টুইট সর্বস্ব। কিন্তু দেশের এই মুহূর্তে বিরোধী শক্তির জোটের দরকার। সেই দায়িত্ব বিরোধীরাই দিয়েছে তৃণমূল নেত্রীকে। কারণ তিনিই এখন সর্বজনগ্রাহ্য বিরোধী মুখ, জনপ্রিয় মুখ। তাঁর দিকে তাকিয়ে বিরোধী শক্তি।’ দাবি জাগো বাংলায়। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, কংগ্রেসকে এড়িয়ে, তাদের দুর্বলতাকে বার বার প্রকাশ্যে এনে জাতীয় ক্ষেত্রে নিজের গ্রহণযোগ্যতা প্রমাণের জন্য সবরকম কৌশল প্রয়োগ করেছে তৃণমূল। এর সঙ্গেই কংগ্রেস কেন এতটা নিরুত্তাপ, কেন এমন শীতঘুমে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। তবে কংগ্রেস এনিয়ে বিতর্ক এড়িয়ে যাচ্ছে। তাদের দাবি, কংগ্রেস থেকেই তৃণমূলের সৃষ্টি।