পশ্চিমবঙ্গে দলের নীতি কী? এই প্রশ্নে শনিবার সরগরম হয়ে উঠল কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস নেতাদের বৈঠক। ক্ষোভ উগরে দিয়ে আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী কেন্দ্রের নেতাদের বললেন, দয়া করে আমাদের আর গিনিপিগ বানাবেন না। যাকে সমর্থন করেছেন প্রদেশ কংগ্রেসের সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা।
এদিনের বৈঠকে হাজির ছিলেন AICC-র তরফে রাজ্যের পর্যবেক্ষক চেল্লাকুমার। তাঁর সামনেই এদিন ক্ষোভ উগরে দেন কৌস্তুভবাবু। বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে দলের অবস্থান কী? তৃণমূলের সঙ্গে তারা কোনও দিন জোট করবে না একথা কি বুকে হাত রেখে বলতে পারবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আর তা যদি না পারে তাহলে আমাদের বারবার গিনিপিগ হিসাবে ব্যবহার বন্ধ হোক।’
এদিন কৌস্তভবাবু প্রশ্ন তোলেন, ‘রাহুল গান্ধী বলেছেন আঞ্চলিক দলগুলো বিজেপির সঙ্গে বোঝাপড়া করে চলে। তৃণমূল কংগ্রেসও তার ব্যতিক্রম নয়। কেন্দ্রে কংগ্রেসের বিকল্প হয়ে ওঠার চেষ্টা করছে তারা। দেশের প্রধান বিরোধী দল হিসাবে কংগ্রেসকে তারা অস্বীকার করছে। তাহলে কেন বারবার তাদের হাত ধরছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব? কেন আমাদের বারবার গিনিপিগ করা হচ্ছে?’ এদিন কৌস্তুভবাবু স্পষ্ট বলেন, ‘সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে AICC.’ কৌস্তভ বাগচীর কোনও প্রশ্নের জবাব ছিল না চেল্লাকুমারের
বলে রাখি, গত মাসে কলকাতায় মেট্রো ডেয়ারির মালিকানাধারী সংস্থা কেভেন্টারের হয়ে মামলা লড়তে কলকাতা হাইকোর্টে আসেন কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতা পি চিদাম্বরম। ওই মামলার মামলাকারী প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। কেন সেই মামলায় অভিযুক্তের হয়ে চিদাম্বরম সওয়াল করতে এসেছেন সেই প্রশ্ন তুলে আদালত চত্বরে তাঁরে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান কৌস্তভবাবু ও প্রদেশ কংগ্রেসের অন্য আইনজীবী নেতারা।