বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > সদস্য সংগ্রহে জোর ধাক্কা খেল কংগ্রেস, লক্ষ্যমাত্রার বহু আগেই দৌড় শেষ

সদস্য সংগ্রহে জোর ধাক্কা খেল কংগ্রেস, লক্ষ্যমাত্রার বহু আগেই দৌড় শেষ

কংগ্রেস সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী (ছবি এএনআই)

২০২৩ সালে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর ২০২৪ সালে রয়েছে লোকসভা নির্বাচন। সেক্ষেত্রে আবার কী বামফ্রন্টের সঙ্গে জোট করবে তারা?‌ নাকি লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করবে?

একুশের নির্বাচনে ফিরতে হয়েছে খালি হাতে। তারপর থেকে কেউ আর হাতে ভরসা করে হাত রাখছে না। পুরসভা নির্বাচনে শূন্য। বালিগঞ্জ বিধানসভা এবং আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচনে জামানত বাজেয়াপ্ত। এই পরিস্থিতিতে হাল ফেরাতে সদস্য সংগ্রহ অভিযানে নেমেছিল রাজ্য কংগ্রেস। কিন্তু বাংলায় এই কর্মসূচি করতে গিয়ে চরম ব্যর্থতার মুখ হল প্রদেশ কংগ্রেস। ১০ লক্ষের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও অর্ধেকও পৌঁছতে পারেনি বিধান ভবনের কর্তারা।

কোন পরিস্থিতিতে রয়েছে কংগ্রেস?‌ ২০২৩ সালে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর ২০২৪ সালে রয়েছে লোকসভা নির্বাচন। সেক্ষেত্রে আবার কী বামফ্রন্টের সঙ্গে জোট করবে তারা?‌ নাকি লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করবে?‌ সূত্রের খবর, এই পরিস্থিতিতে সদস্য সংগ্রহের জন্য পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসকে বাড়তি সময় দিয়েছে এআইসিসি। কেন এই অবস্থা?‌ পর্যালোচনা শুরু হয়েছে।

কত হয়েছে সদস্য সংগ্রহ?‌ কংগ্রেস সূত্রে খবর, বাংলায় সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ১০ লক্ষ স্থির করে দিয়েছিল হাইকমান্ড। কিন্তু সেখানে হোঁচট খেয়েছে বাংলার প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। ১০ লক্ষ সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও অর্ধেকও পৌঁছতে পারল না তারা। ৪ লক্ষের মতো সদস্য সংগ্রহ হয়েছে। এআইসিসি নেতা সৈয়দ নাসির হোসেন জানান, লক্ষ্যমাত্রার ৪০ শতাংশ সদস্য সংগ্রহ হয়েছে।

কী বলছে তৃণমূল কংগ্রেস–বিজেপি?‌ এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‌কংগ্রেস অপ্রাসঙ্গিক, কংগ্রেসের কর্মী সংখ্যা নগণ্য। প্রকৃত কংগ্রেসিরা তৃণমূলে চলে আসছেন।’‌ আর বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‌কংগ্রেস, ওদের কোনও ভবিষ্যত আছে নাকি? কে কংগ্রেস করবে? রাহুল বলছেন ভাল কথা, কিন্তু নিজে কিছু করুন।’‌

বন্ধ করুন