একুশের নির্বাচনে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছিল দু’পক্ষ। গোহারাও হয়েছিল দু’পক্ষ। তারপর থেকেই বেড়ে যায় দূরত্ব। উপনির্বাচনে তারা আলাদা থেকেছেন। তাতেও কোনও লাভ হয়নি। আগামী ৩০ অক্টোবর রাজ্যের চার বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। তাই ‘ভুল বোঝাবুঝি’ মিটিয়ে আবার আলোচনার টেবিলে বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসুর সঙ্গে বসতে চান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। শুভ বিজয়া দিয়েই তা হবে বলে কংগ্রেস সূত্রে খবর।
এদিকে বামফ্রন্ট্রের পক্ষ থেকে চার বিধানসভা কেন্দ্রেরই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে। তাতে কংগ্রেস তিনটি আসনে সমর্থন করলেও শান্তিপুরে প্রার্থী দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে কংগ্রেস। তার ফলে শান্তিপুরে চতুর্মুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যেই বিমানবাবুর সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে অধীরবাবুর। সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের সঙ্গেও কথা হয়েছে তাঁর। কিন্তু শান্তিপুর কেন্দ্র নিয়ে জট কাটেনি। তাই বিমানবাবুর সঙ্গে দেখা করে কথা বলতে চান অধীরবাবু।
এই পর্যন্ত সব ঠিক ছিল। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক কংগ্রেসের এক প্রবীণ নেতা বলেন, ‘অধীরবাবু বিমানবাবুকে শ্রদ্ধা করেন। তাই ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে নিতে চান। ভবানীপুর নিয়ে বিমানবাবুর মুখোমুখি হয়ে কথা বলতে চান অধীরবাবু। তাই দুর্গাপুজোর পর দেখা করার কথা রয়েছে। যদিও এখনও কোনও তারিখ ঠিক হয়নি।’
অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করে অধীর চৌধুরী বলেন, ‘বাংলা তোমার, দিল্লি আমার— দিদি ও মোদীর এই সমঝোতা চলছে। বাংলায় দিদির দল লাভবান হচ্ছে। আর বাকি দেশে মোদীর দল যা করছে, তাতে মোদীর লাভ হচ্ছে!’ পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘অধীর নিজেই মোদীর কোলে উঠে ঘুরে বেড়ায়, তাঁর কথার কোনও গুরুত্ব নেই!’