সবে রাজ্যে উপনির্বাচন গিয়েছে। এবার দেওয়ালি মিটলেই বাংলায় বাজতে পারে পুরভোটের দামামা। ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক দলগুলি তাদের মতো করে জমি তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছে। এদিকে ২১শে মহারণ থেকে এবারের উপনির্বাচনের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে বাম ও কংগ্রেসের মধ্যে জোট হয়েও বিশেষ সুবিধা কিছু হয়নি। তবে উপনির্বাচনে অন্তত দুটি আসন মান রেখেছে কংগ্রেস ও বামেদের। এবার সামসেরগঞ্জ আসনে প্রায় ৭০ হাজার ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কংগ্রেস। অন্যদিকে শান্তিপুর আসনে এই দুঃসময়তেও প্রায় ২০ শতাংশ ভোট পেয়েছেন বাম প্রার্থী। এতে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে বাম ও কংগ্রেস উভয় শিবির। বলা যেতে পারে যেন ভরা অন্ধকারে আলোর শিখা দেখেছে বিরোধী দুই শিবির। সেই আলোর পথেই এবারও হাত ধরাধরি করে যেতে চাইছে বাম ও কংগ্রেস দুই শিবির।
কিন্তু জোট না করেই বা উপায় কী? একলা লড়েও কি আদৌ সুবিধা কিছু হত? এসব সাত পাঁচ কথা ঘুরছে বাংলার রাজনীতির আঙিনায়। তবে কালীপুজো উদ্বোধনের মঞ্চ থেকে সেই জোটের পক্ষেই সওয়াল করলেন কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য। কলকাতা পুরসভার ৪৮ নম্বর ওয়ার্ড সম্ভাব্য কংগ্রেস প্রার্থী সন্তোষ পাঠকের কালী পুজোর উদ্বোধনে এসেছিলেন তিনি। সেখানেই তিনি জোটের ব্যাপারে সওয়াল করেন।
কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, 'আগেও একসঙ্গে লড়াই হয়েছে। আগামীদিনেও একসঙ্গে লড়াই করা উচিৎ।' তবে অনেকের মতে, সামগ্রিক পরিস্থিতিতে সিপিএমের অনেকেরই মনের অবস্থা ভালো নয়। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর দাবি, ভবানীপুর উপনির্বাচনের জোটের শর্ত অমান্য করে কংগ্রেস প্রার্থী দেয়নি। বাধ্য হয়েই সিপিএমকে প্রার্থী দিতে হয়েছিল। শান্তিপুরে কংগ্রেসকে প্রার্থী না দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তবু তারা প্রার্থী দিয়েছিল। এবার তাদেরকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা কী করবেন !