৫ রাজ্যে ভরাডুবি নিয়ে একেবারে সরাসরি আক্রমণ কংগ্রেসকে। শনিবারই তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ অধীর চৌধুরীকে নিশানা করে প্রশ্ন ছুঁড়েছিলেন কেন দল শূন্য়ে নামল সেটা বলতে হবে? আর রবিবার তৃণমূলের মুখপত্র জাগো বাংলাতে সেই কংগ্রেসকেই নজিরবিহীন আক্রমণ করা হল। শিরোনামে লেখা হয়েছে, স্বেচ্ছামৃত্যু। এরপর সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, 'শতাব্দীপ্রাচীন ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের মধ্যে বিদ্রোহের সুর। শুধু বিদ্রোহ বললে ভুল হবে, চরম বিদ্রোহের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে সর্বত্র। পাঁচ রাজ্যে ভরাডুবি হওয়ার পরে পরিস্থিতি বড্ড গোলমেলে।' এরপর পঞ্জাবে কংগ্রেসের হার নিয়ে তুলোধোনা করা হয়েছে জাগো বাংলায়। দিনের শেষে শূন্য কলসি বলেও কটাক্ষ করা হয়েছে।
লেখা হয়েছে, 'বেশি মুখ পুড়েছে উত্তরপ্রদেশে। সারা রাজ্য ঘুরে বেড়ালেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। দিনের শেষে আসন মাত্র ২। সর্বকালীন রেকর্ড। এই যে মনে করা হচ্ছিল ইন্দিরার উত্তরসুরী প্রিয়াঙ্কা তা সমূলে প্রপাতধরণীতল হল ভোটে। লেখা হয়েছে, বর্ষীয়ান নেতারা দলের নেতৃত্ব পরিবর্তন করার কথা বলেছেন। এই দাবিটা অনেক আগেই তোলা উচিত ছিল। তাহলে হয়তো কংগ্রেসটা বেঁচে যেত। রাহুল পার্টটাইম পলিটিশিয়ান। প্রিয়াঙ্কা সদ্য় এসেছেন। ছেলে মেয়ের নেতিবাচক দিক ঢাকতে অসুস্থ সোনিয়াকে দলের হাল ধরতে হয়েছে। ফল যা হওয়ার তাই হচ্ছে। দলটা যদি মেরুদন্ড সোজা করে, নেতৃত্ব বদল করে লড়াইতে নামে তাহলে তবু একটা সম্ভাবনা থাকে। আর যদি আজকের বৈঠকেও গান্ধী নামের প্রতি প্রেম উথলে ওঠে, তাহলে কংগ্রেস স্বেচ্ছামৃত্যুর দিকে ক্রমশ এগিয়ে যাবে।'