বিরল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে পৃথক করা হল যমজ শিশুকে। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে ভূমিষ্ঠ হয়েছিল কনজয়েন্ট টুইন বেবি অর্থাৎ তাদের শরীরের অংশ একে অপরের সঙ্গে যুক্ত ছিল। জন্ম থেকে তাদের লিভারের অংশ একে অপরের সঙ্গে জুড়ে ছিল। এই যমজের জন্মের জন্য বিরল অস্ত্রোপচার হয়েছিল বালুঘাট হাসপাতালে। কিন্তু, দুই শিশু জুড়ে থাকার ফলে স্বাভাবিকভাবেই চিন্তায় ছিল পরিবার। অবশেষে এনআরএস হাসপাতালে এসে স্বস্তি পেল পরিবার। চিকিৎসকদের তৎপরতা এবং বিরল অস্ত্রোপচারের সাহায্যে আলাদা করা হল যমজকে দুজনেই বর্তমানে সুস্থ রয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
জন্মের প্রায় ১৮ দিনের মাথায় ওই যমজের অস্ত্রোপচার এনআরএস হাসপাতালে। প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে চলে অস্ত্রোপচার। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ভ্রূণ দুটি ভাগ হয়ে যাওয়ার সময় ঠিকমতো আলাদা যদি না হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে এই ধরণের শিশুর জন্মের সম্ভাবনা থাকে। ওই দুই শিশুর শরীরের অন্যান্য অংশ আলাদা থাকলেও লিভার জুড়ে ছিল। অবশেষে নীলরতন সরকার হাসপাতালের পেডিয়েট্রিক সার্জারি বিভাগে অস্ত্রোপচার করে তাদের আলাদা করা হয়। শিশু শল্য চিকিৎসক নিরুপ বিশ্বাস জানিয়েছেন, হৃদযন্ত্রে কোনও প্রভাব পড়েনি। লিভারের একটি অংশ জোড়া ছিল সেটি আলাদা করা হয়েছে।
বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে চিকিৎসকদের তৎপরতায় ভূমিষ্ঠ হয়েছিল ওই দুই শিশু। চিকিৎসকদের দাবি, এটি শুধু দক্ষিণ দিনাজপুর বা উত্তরবঙ্গে নয়, গোটা রাজ্যে বিরলতম ঘটনা ছিল। সাধারণত দুটি শিশুর দেহ নাভির সঙ্গে একসঙ্গে জুড়ে থাকলে চিকিৎসকদের পরিভাষায় তাকে বলা হয় ‘কন জয়েন্ট টুইন বেবি’। ১ লক্ষের মধ্যে একজনের ক্ষেত্রে এই ধরনের ঘটনা দেখা যায়। শিশুদের মায়ের নাম জয়া দাস মণ্ডল। তিনি দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জ থানার বিষ্ণুপুরের বাসিন্দা। দুটি প্রাণ সফলভাবে আলাদা হওয়ায় খুশি পরিবার।