চিকিৎসা অসম্পূর্ণ রেখে তৃণমূলের কয়েকজন নেতাকে মেরে ফেলার চক্রান্ত হচ্ছে। এই বিষয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে এবার তথ্য অধিকার আইনে জানতে চাইলেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা। সম্প্রতি বিজেপি নেতা একটি টুইট করেছেন। সেই টুইট থেকেই তাঁর আশঙ্কার বিষয়টি উস্কে দিয়েছেন বিজেপি নেতা।
টুইটে বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের নাম উল্লেখ না করলেও কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের নাম উল্লেখ করেছেন। টুইটে বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা লেখেন, ‘বীরভূমের অসুস্থ মানুষটাকে বারবার অসম্পূর্ণ চিকিৎসা করে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। ফলে উনি ইডি, সিবিআইয়ে হাজিরা দেওয়ার সময় বারবার অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। তাই আরটিআইয়ের মাধ্যমে এসএসকেএম এবং উডবার্নের কোন কোন চিকিৎসকরা মদনবাবু-সহ তৃণমূলের অসুস্থ নেতাদের বার বার অসম্পূর্ণ চিকিৎসা করে মেরে ফেলার চক্রান্ত করা হচ্ছে, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।’ কেন তৃণমূলের এই সব নেতাদের মেরে ফেলার চক্রান্ত করা হচ্ছে, সেটা জানার জন্যই তাঁর এই আরটিআই বলে জানিয়েছেন অনুপম।
যদিও বিজেপি নেতার এই ধরনের মনে হওয়াকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘যারা এই ধরনের প্রশ্ন তুলছেন, তাঁদের মস্তিষ্ক বিভ্রাট হয়েছে বলেই মনে হয়।’ উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে এক দফায় জিজ্ঞাসাবাদ সেরে ফেলেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। এদিন অনুব্রতকে আরও একবার তলব করা হয়েছিল। কিন্তু অনুব্রত আইনজীবী মারফত জানিয়ে দেন, চিকিৎসকরা তাঁকে ১৫ দিন বিশ্রামের নির্দেশ দিয়েছেন। তাই তাঁর পক্ষে এদিন সিবিআই দফতরে হাজির হওয়া সম্ভব হচ্ছে না।