‘সংবিধান বাঁচাও’ এই স্লোগান তুলেছিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। তারপর হয় লোকসভা নির্বাচন। এখন তিনি লোকসভার বিরোধী দলনেতা। তাই সংবিধানের কথাই বলে থাকেন তিনি সংসদের ভিতরে–বাইরে। এবার দেশের সংবিধান নিয়ে নতুন উদ্যোগ নিচ্ছে প্রদেশ কংগ্রেস। আগামী ২৬ নভেম্বর ‘সংবিধান দিবস’ উপলক্ষ্যে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বাংলার সমস্ত স্কুলের পড়ুয়াদের উপহার দেওয়া হবে ‘সংবিধান’। এমনকী সংবিধান নিয়ে পদযাত্রা করবেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার বলে সূত্রের খবর।
কয়েকদিনের মধ্যেই সামনে চলে আসবে মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড বিধানসভার ফলাফল। এই দুই রাজ্যে ভোট হয়ে গিয়েছে। সেখানে ফলাফল যাইহোক দেশের সাংবিধানিক কাঠামো এবং সংবিধানকে রক্ষা করতেই হবে। এই কারণে এমন উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে সূত্রের খবর।সংবিধানের ‘রেড বুক’ দেখিয়ে বারবার ভাষণ দিতে দেখা গিয়েছে রাহুল গান্ধীকে। এমনকী রাহুল গান্ধীর সভাতেও ওই রেড বুক বিলি করতে দেখা যায়। এবার বাংলার পড়ুয়াদের মধ্যে সংবিধান বিলি করবে প্রদেশ কংগ্রেস। আগামী ২৬ নভেম্বর ‘সংবিধান দিবস’। ওইদিনই বাংলার প্রত্যেকটি স্কুলে পড়ুয়াদের হাতে উপহার দেওয়া হবে দেশের সংবিধানের কপি।
আরও পড়ুন: হাসপাতাল থেকে জেলে ফিরেছেন জ্যোতিপ্রিয়, ভার্চুয়ালি হাজির আদালতের শুনানিতে
সরকারি–বেসরকারি স্কুলে ‘সংবিধান’ দেওয়া সম্ভব হলেও কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়গুলিতে তা দেওয়া কতটা সম্ভব হবে সেটা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে। তবে স্কুল ছুটির পর তা দেওয়া যেতে পারে। আর আগামী ২৬ নভেম্বর বিদ্যাসাগর মূর্তি থেকে নেতাজি মূর্তি পর্যন্ত পদযাত্রা করবেন প্রদেশ কংগ্রেসের নেতা–কর্মীরা। ওই পদযাত্রায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকারের হাতে দেখা যাবে সংবিধান। সকল নেতা–কর্মী পদযাত্রায় যাতে সংবিধান হাতে রাখেন সে নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। রাস্তায় দাঁড়িয়ে প্রস্তাবনা পাঠ করা হবে বলে সূত্রের খবর।
কংগ্রেসের এই উদ্যোগ অভিনব এবং সরাসরি বিজেপি বিরোধী বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ বিজেপি সংবিধান পাল্টে ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছিল। আর তা নিয়ে লোকসভা নির্বাচনে প্রচারও হয়েছিল। এবার শরিক নিয়ে বিজেপি সরকার চালাচ্ছে তবু এই শঙ্কা এখনও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তার উপর সামনে শীতকালীন অধিবেশন আছে সংসদে। তার আগে এই কর্মসূচি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। বাংলা থেকে কংগ্রেসের একজন সাংসদ রয়েছে। আর এখানে বিজেপি প্রধান বিরোধী দল। তাই বিজেপির কার্যকলাপ কতটা মানুষের স্বার্থ–বিরোধী সেটা তুলে ধরতেই এই সংবিধান বিলি বলে মনে করা হচ্ছে।