কালীঘাটে স্কাইওয়াক নির্মাণের কারণে নিয়মিত ব্যবসা বন্ধ থাকায় বেশ কিছু স্থানীয় দোকানি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়ে। সুবীর রায়-সহ কয়েকজন ব্যবসায়ী এই মামলা দায়ের করেছেন। তাঁদের দাবি, ব্যবসা বন্ধ থাকায় মহাজনের কাছ থেকে নেওয়া ধারের টাকা মেটাতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা, ফলে তাঁদের পরিবারগুলি সমস্যায় পড়েছে। মঙ্গলবার বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে এই মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান আবেদনকারীদের আইনজীবী ঋতুপর্ণা ঘোষ।
২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে কালীঘাটে স্কাইওয়াক নির্মাণের কাজ শুরু হয়। কালীঘাট মন্দির ও সংলগ্ন চত্বর সাজানোর জন্য ২০১৯ সালে ১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল, যা পরে বাড়িয়ে ১৭ কোটি করা হয়। মন্দিরের বাইরের স্থানগুলির সংস্কার ও স্কাইওয়াক নির্মাণের দায়িত্বে রয়েছে কলকাতা পুরসভা এবং পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। মন্দির সংস্কারের যাবতীয় দায়িত্ব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রিলায়েন্স গোষ্ঠীর হাতে তুলে দিয়েছেন।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের একাংশের দাবি, স্কাইওয়াক নির্মাণের কারণে তাঁদের ব্যবসায় বিপুল ক্ষতি হয়েছে। ব্যবসা চালাতে না পারায় তাঁরা মহাজনের ঋণ শোধ করতে পারছেন না এবং আর্থিক সংকটে ভুগছেন। তাই আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়ে তাঁরা ক্ষতিপূরণ অথবা অন্যত্র পুনর্বাসনের আবেদন জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন। অগস্ট মাসেই খুলে যেতে চলেছে কালীঘাটের স্কাইওয়াক, সংস্কার শেষের পথে মন্দিরও
এই পরিস্থিতিতে হাই কোর্টের রায় কী হয়, তা দেখার অপেক্ষায় আছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
বেশ কয়েকবছর ধরে চলছে কালীঘাট স্কাইওয়াক নির্মাণের। ইতিমধ্যেই কাস্টিংয়ের কাজও সম্পূর্ণ হয়েছে। নির্মীয়মাণ স্কাইওয়াকের উপর শেড বসানোর কাজও চলছে। এই স্কাইওয়াকে ওঠানামার জন্য কংক্রিটের সিঁড়িও সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। জুলাই মাসের মধ্যেই বেশিরভাগ কাজ শেষ হয়ে যাবে। এমনই দাবি করা হচ্ছে কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে।