চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক–শিক্ষিকারা যখন তাঁদের দাবি দাওয়া নিয়ে বিকাশ ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়েছিলেন, তখন সেই চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিল হাই কোর্ট।
নিজের দাবিদাওয়া নিয়ে সল্টলেকের বিকাশ ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে এসেছিলেন উচ্চ মাধ্যমিকে চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক–শিক্ষিকারা। কিন্তু সেখানে ১৪৪ ধারা জারি থাকায় সেখানে শিক্ষক শিক্ষিকাদের জমায়েত হতে দেওয়া হয়নি। পুলিশ তাঁদের আটক করে নিয়ে যায়।
চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক–শিক্ষিকাদের দাবি, ২০ বছর ধরে তাঁরা ১৩,৫০০ টাকার বেতনে কাজ করছেন। তাঁদের ন্যূনতম পে স্কেল দিতে হবে। পাশাপাশি তাঁদের অভিযোগ, এমন অনেকেই আছেন যারা অবসর নিয়েছেন, কিন্তু পাঁচ বছর ধরে গ্র্যাচুইটির টাকা পাচ্ছেন না। শুধু তাই নয়, একজন বিক্ষোভরত শিক্ষিকা জানাচ্ছেন, ২০১৮ সালে মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের এই সব দাবিদাওয়া মিটিয়ে দেওয়ার কথা বলেছিলেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী বলা সত্বেও ওই সব ফাইল আটকে রাখা হয়েছে। এদিন ১৫ থেকে ১৬ জন চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক–শিক্ষিকা তাঁদের দাবি দাওয়া নিয়ে বিকাশ ভবনে বিক্ষোভ দেখান। কিন্তু পুলিশের মতে, তাঁরা যে এখানে ডেপুটেশন জমা দিতে আসবেন, তার আগাম কোনও অনুমতি নেওয়া ছিল না।
চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক–শিক্ষিকারা যখন তাঁদের দাবি দাওয়া নিয়ে বিকাশ ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়েছিলেন, তখন সেই চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিল হাই কোর্ট। নদিয়ার এক চুক্তিভিত্তিক শিক্ষককে আচমকাই ২০০৭ সালে বরখাস্ত করা হয়েছিল। বরখাস্তের পর ২০১২ সালে ওই শিক্ষক আদালতের দ্বারস্থ হন। কিন্তু মামলাকারীকে বিচারপতির ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়। কার সুপারিশে নিয়োগ করা হয়েছিল, শিক্ষককে প্রশ্ন করে বসেন বিচারপতি।