রবীন্দ্রনাথের জন্মদিন বাংলায় এসেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এদিনই বিশ্বকবির সম্পর্কে তিনি ভুল তথ্য দিয়েছেন বলে টুইটে দাবি করল তৃণমূল কংগ্রেস। কলকাতায় রবি–স্মরণে নতুন বিতর্ক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বক্তব্য নিয়ে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কোন মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক? তিনি বলেছেন, ভারত এবং বাংলাদেশের জাতীয় গীত রচনা করেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে গিয়েছে বিতর্ক। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে ট্যুইট করে অভিযোগ করা হয়েছে, দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইতিহাস জানেন না। ট্যুইটে লেখা হয়েছে, বিজেপি দেশের ইতিহাস সম্পর্কে কিছু জানে না। সেটি প্রমাণ হয়েছে অমিত শাহের মন্তব্যে।
সংবিধান মতে, ‘ন্যাশনাল অ্যান্থেম’ হল জনগণমন। সেটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা। একই সঙ্গে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত ‘আমার সোনার বাংলা’ও রচনা করেছেন রবীন্দ্রনাথ। কিন্তু ‘ন্যাশনাল অ্যানথেম’কে বাংলা বা হিন্দিতে কী বলা হবে, তা নিয়েই বিতর্ক। অনেকের মতে, জাতীয় গীত হল ‘বন্দে মাতরম’। যা বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা। অনেকে আবার মনে করেন, ‘ন্যাশনাল অ্যান্থেম’-এর বাংলা বা হিন্দি হওয়া উচিত ‘জাতীয় স্তোত্র’। কিন্তু এই বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা না থাকার ফলেই এই জটিলতা। আর সেই কারণেই এমন অভিযোগ করা হয়েছে তৃণমূলের তরফে।
সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার উপর বছর ঘুরলে লোকসভা নির্বাচন। এই দুই নির্বাচন মাথায় রেখে বাঙালির হৃদয় জিততে চেয়েছেন অমিত শাহ। আর তাই অমিত শাহের রবীন্দ্রজয়ন্তীতে বাংলায় ছুটে আসা। এই কারণে সকালেই জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে কবির মূর্তিতে মালা দিয়ে সেখানে ঘুরে যান শাহ। এই নিয়ে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ বাঙালির আবেগ। সেই আবেগ নিয়ে ছেলেখেলা করা যায় না। বিজেপি নেতারা যতই আসুন রবীন্দ্রস্মরণে। তাঁকে নিয়ে রাজনীতি করতে পারবেন না। সেটা ভালো হবে না।’ একুশের নির্বাচনের আগে বিশ্বভারতীতে এসেছিলেন মোদী–শাহ। অমিত শাহ শান্তিনিকেতনে গিয়ে মহামিছিল বের করেছিলেন। এবারও রবীন্দ্রনাথকে ব্যবহার করার চেষ্টা করল বিজেপি বলে মনে করছে তৃণমূল কংগ্রেস।