বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Manik Bhattacharya: কোর্ট অর্ডারে ‘গ্রেফতারের’ উল্লেখ রয়েছে, জেলের বাইরে মানিকের স্ত্রী–ছেলে, বিতর্ক

Manik Bhattacharya: কোর্ট অর্ডারে ‘গ্রেফতারের’ উল্লেখ রয়েছে, জেলের বাইরে মানিকের স্ত্রী–ছেলে, বিতর্ক

মানিক ভট্টাচার্য।

নিয়োগ দুর্নীতিতে যে বড় অঙ্কের আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে, সেটার একটি অংশ মানিকের স্ত্রী ও ছেলের অ্যাকাউন্টেও গিয়েছে। এটা তদন্ত করে মনে করছেন ইডির অফিসাররা। তাই আদালতের পক্ষ থেকে সমন পাঠানো হয়েছিল তাঁদের। আদালতে তাঁরা জামিনের আবেদন করেছিলেন। যার বিরোধিতা করে ইডি।

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন পলাশীপাড়ার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতেই থাকবেন মানিক ভট্টাচার্য। কিন্তু এখন একটা বিতর্ক দেখা দিয়েছে। আর সেটা হল, কোর্ট অর্ডার। কারণ কোর্ট অর্ডারে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে মানিকের ছেলে সৌভিক ভট্টাচার্য, স্ত্রী অপরূপা ভট্টাচার্য এবং তাপস মণ্ডলের গ্রেফতারির কথা। তাহলে তাঁরা এখনও কেন জেলের বাইরে? বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে।

ঠিক কী আছে চার্জশিটে?‌ সূত্রের খবর, এই মামলায় চার্জশিট দাখিল করেছিল ইডি বা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সেই চার্জশিটে উল্লেখ করা ছিল মানিকের পরিবারের দুই সদস্য এবং তাপস মণ্ডলের নাম। এই কারণে তাঁরা আদালতে হাজিরা দেন। কোর্ট অর্ডারে অভিযুক্তদের তালিকায় নাম রয়েছে এই তিনজনের। এমনকী সেই অর্ডারে এদের গ্রেফতারির কথাও উল্লেখ করা রয়েছে। তাই আইনজীবীদের একাংশ প্রশ্ন তুলছেন, এখনও কী করে তাঁরা জেলের বাইরে রয়েছেন?

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ একসপ্তাহ আগে মানিক ভট্টাচার্যকে আদালতে পেশ করা হয়েছিল। তখন সেখানে আদালতে হাজিরা দিতে এসেছিলেন মানিকের স্ত্রী এবং পুত্রও। তাঁরা জামিনের জন্য আবেদন করেন। কিন্তু ইডির আইনজীবী জানান যে, মানিক–সহ বাকিদের শুনানির জন্য আজ তাঁরা প্রস্তুত নয়। তখন বিচারক আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী দিন ধার্য করেন। মানিক ভট্টাচার্যকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তবে মানিক ভট্টাচার্য জেলে থাকলেও বাইরে রয়েছেন তাপস মণ্ডল, মানিকের স্ত্রী ও পুত্র।

ইডির ঠিক কী অভিযোগ?‌ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট সূত্রে খবর, নিয়োগ দুর্নীতিতে যে বড় অঙ্কের আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে, সেটার একটি অংশ মানিকের স্ত্রী ও ছেলের অ্যাকাউন্টেও গিয়েছে। এটা তদন্ত করে মনে করছেন ইডির অফিসাররা। তাই আদালতের পক্ষ থেকে সমন পাঠানো হয়েছিল তাঁদের। আদালতে তাঁরা জামিনের আবেদন করেছিলেন। যার বিরোধিতা করে ইডি।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup

বন্ধ করুন