সোমবারই বিজেপির নতুন রাজ্য কমিটি ঘোষণা করেছেন বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাতে ১২ জন সহ সভাপতির সঙ্গে রয়েছেন ৫ জন সাধারণ সম্পাদক ও ১০ জন সচিব। বদল করা হয়েছে দলের একাধিক শাখা সংগঠনের সভাপতিকেও। আর মূলত তা নিয়েই ক্ষোভ দানা বেঁধেছে বিজেপির একাংশের মধ্যে।
নতুন কমিটিতে লকেট চট্টোপাধ্যায়কে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দিয়ে অগ্নিমিত্রা পালকে মহিলা মোর্চার দায়িত্বে আনা হয়েছে। ওদিকে ঘরের ছেলে দেবজিৎ সরকারকে সরিয়ে দলের যুব মোর্চার সভাপতি করা হয়েছে সৌমিত্র খাঁকে। মূলত এই ২ বদল নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন দলের পুরনো সদস্যরা।
বিজেপির একাংশের দাবি, দেবজিৎ আরএসএস করা ছেলে। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে শ্রীরামপুর আসন থেকে নিজে জিততে পারেননি ঠিকই। কিন্তু তাঁর নেতৃত্বে যুব মোর্চা ঠিক মতো কাজ না করলে বিজেপির ১৮ আর হত না। সেই দেবজিতকে সরিয়ে আনা হল সৌমিত্র খাঁকে। যার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ। তাছাড়া সুযোগ বুঝে দলবদল করতে সিদ্ধ যিনি।
যদিও দেবজিতকে সরানোর পক্ষে যারা তাদের যুক্তি, বিধানসভা নির্বাচনের আগে যুব মোর্চার আরও আগ্রাসী নেতৃত্ব প্রয়োজন। নইলে তৃণমূলের মতো দলকে রোখা মুশকিল। তাই তৃণমূলের আঁটঘাট জানা সৌমিত্রকে দায়িত্বে আনা হয়েছে।
একই প্রশ্ন উঠেছে অগ্নিমিত্রা পালকে নিয়েও। কোন রাজনৈতিক প্রতিভা দেখে একজন ফ্যাশন ডিজাইনারকে মহিলা মোর্চার দায়িত্ব দেওয়া হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন দলের একাংশের নেতারা। সেক্ষেত্রে নেতৃত্বের জবাব, লকেটের ক্ষেত্রেও একসময় এমন প্রশ্ন উঠেছিল। কিন্তু নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন লকেট। তেমন অগ্নিমিত্রাও সময়ের সঙ্গে পোড়খাওয়া নেত্রী হয়ে উঠবেন।
তবে বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির রাজ্য কমিটিতে অবাঙালি মুখ উল্লেখযোগ্যভাবে কম। হাতে গোনা কয়েকজন বাদ দিলে সবাই বাঙালি। অবাঙালি পার্টির তকমা ঝেড়ে বাঙালির বন্ধু হয়ে উঠতেই এই সিদ্ধান্ত বলে মত বিশেষজ্ঞদের।