করোনাভাইরাসের জেরে লোকাল ট্রেন বন্ধ রয়েছে। পেট্রোল–ডিজেলের দাম পালা করে বেড়ে চলেছে। এই অবস্থায় পাল্লা দিয়ে গত কয়েক মাস ধরে গোটা দেশে বাড়ছে ভোজ্য তেলের দাম। তার জেরে আম জনতার সংসার খরচও বেড়ে গিয়েছে অনেকটাই। এই বিষয়ে পোস্তার পাইকারি ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, আপাতত ভোজ্য তেলের দাম কমবে না। নতুন সরষে মাঠ থেকে ওঠার আগে তেলের দাম কমার আশা আপাতত নেই। এখন সরষের তেলের পাইকারি দাম ১৬০ টাকা ছুঁয়েছে। আর খুচরো দোকানে দাম আরও অনেকটা বেশি। আর তাতে নাভিশ্বাস উঠেছে মধ্যবিত্তের।
এদিকে সয়াবিন, সূর্যমুখী, রাইস ব্রান সব ধরনের ভোজ্য তেলের দাম বেড়েছে। সরষে ছাড়া অন্যান্য ভোজ্য তেল এখনও বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। ফলে ওই সব তেলের উপর আমদানি শুল্ক চাপে। পোস্তা মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তা বিশ্বনাথ আগরওয়াল জানান, আমদানি শুল্কের জন্য প্রতি কেজিতে ২৫–৩০ টাকা দাম বেশি পড়ে। কেন্দ্রীয় সরকার আমদানি শুল্ক কমালে দামে কিছুটা সাশ্রয় হতে পারে। এখন প্রায় ৪০–৫০ শতাংশ হারে আমদানি শুল্ক নেওয়া হয় ভোজ্য তেলের উপর।
অন্যদিকে এখানকার ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, পাম তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি অন্য ভোজ্য তেল, বিশেষ করে সরষের তেলের দামের উপর প্রভাব ফেলেছে। মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া প্রভৃতি দেশ থেকে পাম তেল আমদানি করা হয়। এই তেল আগে অনেকটা সস্তা ছিল। বাড়ির রান্নায় সেভাবে ব্যবহার করা না হলেও হোটেলগুলি পাম তেল দিয়ে রান্নাবান্না করত। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে পাম তেলের দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন পাইকারি বাজারে সরষে ও পাম তেলের দাম প্রায় কাছাকাছি। তাই এখন হোটেলে সরষের তেলের চাহিদা বেড়ে গিয়েছে। আর দামও বেড়েছে। সয়াবিন, সূর্যমুখী তেল প্রভৃতির দাম বেড়েছে। এগুলির পাইকারি বাজারে দাম এখন ১৫০ টাকার আশপাশে। রাইস ব্রান তেলের একটা বড় অংশ বাংলাদেশ থেকে আসে। অন্যান্য ভোজ্য তেলের দাম বাড়ার প্রভাব তার উপরও পড়েছে। পাইকারি বাজারে রাইস ব্রান তেলের দাম এখন কেজিতে ১৪০ টাকার কাছাকাছি।