ফের বিদ্রোহ কলকাতা পুলিশে। এবার কর্তাদের ওপর ক্ষোভে থানায় ভাঙচুর চালালেন পুলিশকর্মীরাই। এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বার কলকাতা পুলিশের নিচুতলার কর্মীদের ক্ষোভ প্রকাশ্যে এল। সোমবারের ঘটনা গড়ফা থানার।
এদিন সকালে বাঙুর হাসপাতালে মৃত্যু হয় পরিমল ঘোষ নামে এক কলকাতা পুলিশের এক অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টরের। শ্বাসকষ্ট নিয়ে রবিবার তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সোমবার সকালে মৃত্যু হয় তাঁর। এর পর বিক্ষোভ ছড়ায় গড়ফা থানায়। পরিমলবাবুর সহকর্মীদের অভিযোগ, কার্যত বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
সঙ্গে তাঁদের দাবি, কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরা করোনা আক্রান্ত হলে তাঁদের চিকিৎসা হচ্ছে আনন্দপুরের নামি বেসরকারি হাসপাতালে। আর নিচুতলার কর্মীদের চিকিৎসা হচ্ছে এমআর বাঙুরে।
পরিমলবাবুর মৃত্যুর খবর পৌঁছতেই থানায় পুলিশকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়াতে শুরু করে। কিছুক্ষণ পর বিক্ষোভ চরমে পৌঁছলে নিজেদের থানাতেই ভাঙচুর শুরু করে দেন পুলিশকর্মীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন পদস্থ পুলিশকর্তারা। এর পর জানা যায় আসল গল্প।
কলকাতা পুলিশের কর্তা জানিয়েছেন, দিন কয়েক আগে গড়ফা থানার এক পুলিশকর্মীর করোনা ধরা পড়েছিল। তার পর থানার ৪ পুলিশকর্মীকে হাওড়ার ডুমুরজলা স্টেডিয়ামে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়। তখন তাঁদের লালারসের নমুনায় করোনাভাইরাসের উপস্থিতি মেলেনি। সেই চার জনের এক জন ছিলেন পরিমলবাবু। রবিবার তাঁর করোনার উপসর্গ দেখা দেয়। যার ফলে তিনি করোনা আক্রান্ত বলে মানতে নারাজ লালবাজার।
ওদিকে ভাঙচুরের পর পুলিশকর্তারা পৌঁছতে দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলা হয় থানা। পুলিশকর্মীদের দাবি, আধিকারিকদের মতো তাঁদের চিকিৎসাও বেসরকারি হাসপাতালে হোক।
বলে রাখি, গত মঙ্গলবার রাতে কলকাতার পুলিশ ট্রেনিং স্কুলের ভিতরে বিদ্রোহ করেন কলকাতা পুলিশের কমব্যাট ফোর্সের কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, করোনা সংক্রমিত এলাকায় ডিউটি করতে বাধ্য করা হচ্ছে তাঁদের। এই অভিযোগে ডিসি কমব্যাট ফোর্সকে লাঠি নিয়ে তাড়া করেন তাঁরা। কোনও ক্রমে পালিয়ে প্রাণ বাঁচাতে হয় পদস্থ ওই পুলিশ আধিকারিককে।