শম্ভুনাথ পন্ডিত হাসপাতালের পর এবার ওষুধ মেয়াদ উত্তীর্ণ হতে চলেছে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে। বেলেঘাটা আইডি সূত্রের খবর, সেখানে ৪৬,৫০০ টি হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ট্যাবলেট এখনও মজুদ রয়েছে। যার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে মার্চে। অন্যদিকে, ৪,৭২০ টি ফ্যাভিপিরাভির ট্যাবলেট রয়েছে। এর মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার কথা রয়েছে ফেব্রুয়ারিতে।
এই অবস্থায় বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল স্বাস্থ্য দফতরে চিঠি দিয়ে ওষুধ ফিরিয়ে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে। যে হাসপাতালে এই ওষুধের প্রয়োজন রয়েছে সেই সমস্ত হাসপাতালগুলোতে ওষুধ পাঠানোর জন্য স্বাস্থ্য দফতরের কাছে আবেদন জানিয়েছে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সাধারণত এই ওষুধগুলো করোনা সংক্রমণের জন্য জীবনদায়ী ওষুধ হিসেবেই ধরা হয়।
রাজ্যে করোনা সংক্রমণ যেখানে প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সেই অবস্থায় কীভাবে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল এত পরিমাণ ওষুধ নষ্ট হতে চলেছে তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
যদিও বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের তরফ থেকে স্বাস্থ্যদফতরকে জানানো হয়েছিল যে তাদের এত পরিমান ওষুধের প্রয়োজন নেই। তারপরে সেই ওষুধ বেলেঘাটা হাসপাতালে স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে পাঠানো হয়েছে বলে দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।
কর্মরত চিকিৎসকদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অফ হেলথ সার্ভিস ডক্টরস এর সাধারণ সম্পাদক মানস গুমটা এর জন্য স্বাস্থ্য দফতরকেই দায়ী করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে ৮৫০ টি রেমডেসেভির ইঞ্জেকশন মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। যার মূল্য প্রায় ৮ লক্ষ টাকা। করোনার জীবনদায়ী এই ইঞ্জেকশনের এক এর দাম প্রায় ২০ থেকে ২২ হাজার টাকা। করোনার পাশাপাশি আরও বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা ক্ষেত্রে এই ইঞ্জেকশনগুলো ব্যবহার করা হয়। এই অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে কীভাবে এত পরিমাণ ওষুধ এবং ইঞ্জেকশন নষ্ট হচ্ছে?