৯২ বছর বয়সী বাবাকে যাদবপুরের একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছিলেন তাঁর কন্যা। ওই বৃদ্ধ করোনাতে আক্রান্ত ছিলেন। মঙ্গলবার বাবাকে আনতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন তাঁর কন্যা। গিয়ে যা দেখেন তাতে একেবারে চক্ষু চড়কগাছ বৃদ্ধের মেয়ের। তাঁর দাবি ,বাবাকে বিবস্ত্র অবস্থায় ওয়ার্ডে ঘুরে বেড়াতে দেখি। এদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, তিনি জামাকাপড় ফেলে দিয়েছেন। এখানেই প্রশ্ন তুলেছেন রোগীর কন্যা, একজন বৃদ্ধ রোগী যদি জামাকাপড় ফেলে দিয়ে থাকেন তবে তা পরিয়ে দেওয়া হয়নি কেন?
তবে শুধু এখানেই অভিযোগের শেষ নয়। হাসপাতাল থেকে ছাড়ার সময়তেও একটি কাপড়ও দেওয়া হয়নি বৃদ্ধের জন্য, অভিযোগ এমনটাই। শেষ পর্যন্ত অ্যাম্বুল্যান্স চালক ওই বৃদ্ধকে চাদর দিয়ে ঢাকা দিয়ে দেন। এদিকে এই বৃদ্ধের কন্যার দাবি, তাঁর বাবা বয়সের ভারে একেবারে জরাজীর্ণ। ভালো করে শুনতে পান না। ভালো করে দেখতেও পান না। সেই অবস্থায় তিনি কীভাবে জামাকাপড় খুলে ফেললেন। যদি জামাকাপড় খুলেও ফেলেন তবে সেগুলিকে ফের কেন পরিয়ে দেওয়া হল না। নগ্ন অবস্থায় এভাবে রোগীকে বাড়ি পাঠানোর মাধ্যমে যে বিভৎসতা, যে অসম্মান রয়েছে তার কোনও প্রতিকার কি হবে না? এদিকে গোটা ঘটনায় হাসপাতালের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সমাজকর্মীরা। তাঁদের দাবি, এই ধরণের ঘটনা কোনওভাবেই অভিপ্রেত নয়।