রাজ্যে ফের বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। কয়েক মাস থমকে পর আবারও ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে করোনা। এমনটাই বলছে রাজ্যের স্বাস্থ্য বুলেটিন। তিন মাস পর ফের করোনার দৈনিক সংক্রমণ ১০০ ছড়াল। শনিবারের হেলথ বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৩৯ জন। তাহলে কি করোনার চতুর্থ ঢেউয়ের মুখোমুখি গোটা দেশ? এমনই প্রশ্ন এখন মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।
গত শুক্রবার রাজ্যে একদিনে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ১০৭ জন। শনিবার নতুন করে ১৩৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। অর্থাৎ করোনার গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। এর আগে রাজ্যে করোনার দৈনিক সংক্রমণ ১০০ এর গণ্ডি পেরিয়ে ছিল গত ১১ মার্চ। ওইদিন ২৪ করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ১০৬ জন। মাঝখানে এপ্রিল-মে মাসে করোনা সেভাবে বাড়েনি। গত ১৬ এপ্রিল করোনা সংক্রমণ সবচেয়ে কম ছিল। ওইদিন ১৩ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। যেভাবে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে তার জন্য সাধারণ মানুষের সচেতনতার অভাবকে দায়ী করেছেন এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালের সুপার শিশির নস্কর। তিনি বলেন, ‘আমাদের এখনও বলা হয়নি যে করোনা চলে গিয়েছে। তার পরেও আমরা সচেতন হচ্ছি না। তাই করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য আমরাই দায়ী।’ তবে করোনার স্ট্রেনে বদল হচ্ছে কিনা তা পরীক্ষা করা ছাড়া জানা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন ভাইরোলজিস্ট অমিতাভ নন্দী। তিনি মনে করেন, এই করোনা প্রাণঘাতী নয়।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৯০ জন। আর এই সপ্তাহে এখনও পর্যন্ত ৪৯১ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তার মধ্যে কলকাতায় আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। কলকাতায় ৭৮ জন এক দিনে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।প্রসঙ্গত, করোনা থাবা বসিয়েছে জলপাইগুড়ি গভর্মেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে। এই কলেজের হস্টেলের ৬ জন আবাসিকের শরীরে করোনার অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে। এরপরেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে জলপাইগুড়ি গভর্মেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পঠন পাঠন আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষাও স্থগিত রাখা হয়েছে।