কলকাতায় চিহ্নিত প্রথম করোনাভাইরাস রোগীর দেহে নেই কোনও উপসর্গ। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছেন আক্রান্ত। জ্বর, সর্দি, কাশি বা শ্বাসকষ্টের মতো কোনও লক্ষণ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর তাঁর দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি জানা যায়। ইংল্যান্ড ফেরত ওই যুবকের দেহে যে করোনাভাইরাস বাসা বেঁধেছে তা নইলে জানার কোনও উপায় ছিল না।
চিকিৎসরা জানিয়েছেন, এই জন্যই সমস্ত বিদেশফেরত নাগরিকদের কোয়ারেনটাইনে রাখার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। কারণ করোনাভাইরাসের জীবাণু দেহে প্রবেশের পর তার লক্ষণ দেখা দিতে ১৪ দিন সময় লাগে। এর মধ্যে শরীরে নিজের শাখা প্রশাখা ছড়ায় ভাইরাস। এর পর্যায়েই ভাইরাসের উপস্থিতি চিহ্নিত হল যুবকের দেহে। যা চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্তাদের কৃতিত্ব।স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্ত যুবক গত ১৫ মার্চ কলকাতায় ফেরেন। বিমানবন্দরে তাঁর দেহে কোনও অস্বাভাবিকতা ধরা পড়েনি। জানা যায়, ইংল্যান্ডে থাকাকালীন একটি পার্টিতে যোগ দেন। সেই পার্টিতে যোগদানকারী একাধিক ব্যক্তির দেহে করোনাভাইরাস সংক্রমণ হয়। তার মধ্যে রয়েছেন যুবকের বান্ধবীও। এর পরই চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি।
যুবকের ইংল্যান্ডের গতিবিধি থেকে তিনি করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন বলে অনুমান করেন চিকিৎসকরা। সোমবারই তাঁকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু সেদিন আসেননি তিনি। মঙ্গলবার সকালে ভর্তি হতেই তাঁর সোয়াবের নমুনা নাইসেডে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। বিকেলে জানা যায় তিনি করোনায় আক্রান্ত।
এর পর কোমর বেঁধে ময়দানে নেমেছে রাজ্য প্রশাসন। কলকাতায় ফেরার পর ওই যুবক কার কার সংস্পর্শে এসেছিলেন তা জেনে সেই ব্যক্তিদের খুঁজে বার করার পর্যায় শুরু হয়েছে। ওই ব্যক্তি বাড়িতে কোয়ারেন্টাইন করা হতে পারে।
ইতিমধ্যে যুবকের মা – বাবা ও গাড়ির চালককে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে আনা হয়েছে। তাদের পাঠানো হয়েছে কোয়ারেনটাইনে। তাঁদের সোয়াবের নমুনাও পরীক্ষায় পাঠানো হয়েছে।