বিজেপিকে বিভিন্ন নির্বাচনে পিছনে ফেলে উপরে উঠে আসছে বামেরা। কারণ রাস্তায় নেমে বিজেপি আন্দোলন করতে পারছে না। সেটা বামেরা করে দেখাচ্ছে। সদ্য বিজেপির নবান্ন অভিযানে গেরুয়া শিবিরের নেতাদের আত্মসমর্পণ করতে দেখেছে গোটা রাজ্য। সেখানে আজ, বৃহস্পতিবার বামেদের পুরসভা ঘেরাও অভিযানকে ঘিরে তুমুল শোরগোল পড়ে গেল। কলকাতা পুরসভার শূণ্যপদে নিয়োগের দাবিতে পথে নামে বামেরা। কলেজ স্কোয়ার থেকে শুরু হয় মিছিল। লেনিন সরণী ধরে মিছিল এগিয়ে পুরসভার সামনে আসতেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। ভেঙে ফেলা হয় ব্যারিকেড।
ঠিক কী ঘটেছে লেনিন সরণিতে? আট দফা দাবি নিয়ে পুরসভা ঘেরাও অভিযানে নামে বাম ছাত্র–যুব সংগঠন। আজ, বৃহস্পতিবার কলকাতা পুরসভার মাসিক অধিবেশন ছিল। তাই মিছিল ঠেকাতে প্রচুর পুলিশ রাখা হয়েছিল। রাস্তায় ছিল একাধিক গার্ডরেল। পুলিশের ঘিরে দেওয়া সেই একের পর এক ব্যরিকেড ভেঙে এগিয়ে যান বাম ছাত্র–যুবরা। তখনই পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। এমনকী হাতাহাতির মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, ধ্রুবজ্যোতি সাহা, কলতান দাসগুপ্ত–সহ অন্যান্যরা।
ঠিক কী বলেছেন মীনাক্ষী? পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক ধস্তাধস্তির পর ডিওয়াইএফআই নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় সংবাদমাধমে বলেন, ‘যতক্ষণ পুলিশ আমাদের কথা না শুনবে, আমরা এখান থেকে উঠব না। আজ আমরা এখানে পুলিশের ভূমিকা দেখলাম। আগামী ২০ সেপ্টেম্বর ওদের সঙ্গে মুখোমুখি কথা হবে। চাকরি না পেয়ে গোটা রাজ্যে যা রাগ ক্ষোভ তৈরি হয়েছে, তা দেখে ভয় পাচ্ছে সরকার। তাই পুলিশকে সামনে রেখে বাঁচতে চাইছে। কিন্তু এই ভয়ের আগুন থেকে বাঁচতে পারবে না।’
ঠিক কী অভিযোগ বামেদের? এদিন মিছিল থেকে বামেদের অভিযোগ তোলা হয়। সেখানে বলা হয়েছে, পুরসভার স্কুলগুলিকে চালু করতে হবে। কলকাতা পুরসভায় ২৯ হাজার শূন্যপদ রয়েছে। সেই শূন্যপদে লোক নিয়োগ করতে হবে, তাও স্বচ্ছতার সঙ্গে। যেখানে খামতি আছে তা ঠিক করতে হবে। বেতন, পেনশন সব ঠিক মতো দিতে হবে।