স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে কোনও দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না বলে আগেই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোনও হাসপাতাল এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত না হলে বাতিল হবে লাইসেন্স বলেও বারবার বলা হয়েছে। এই কারণে স্বাস্থ্যসাথীর আওতাভুক্ত বেসরকারি হাসপাতালগুলির উপর নজরদারি চালাতে দেড় বছর আগে জেলা ও রাজ্যওয়াড়ি কমিটি গড়েছিল স্বাস্থ্যভবন। তারা লাগাতার পরিদর্শন করে ধরেছে একের পর এক দুর্নীতি এবং অনিয়ম। এক ক্যাটিগরির হাসপাতাল হয়ে অন্য ক্যাটিগরির বিল করা, কার্ড জমা রেখে বিল বাড়ানো,প্যাকেজের বাইরে গিয়ে বিল করা, এক অপারেশনের কথা বলে অন্য চিকিৎসা করা—এরকম একাধিক অপকর্ম ধরা পড়তেই কড়া পদক্ষেপ করা হয়েছে।
ঠিক কী তথ্য উঠে এসেছে? স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, গত দেড় বছরে এই সব অভিযোগে ১০২টি হাসপাতালকে শোকজ করা হয়েছে। আর একই কারণে জরিমানা করা হয়েছে ৫৩টি হাসপাতালকে। সব মিলিয়ে প্রায় ১১ কোটি টাকা (১০ কোটি ৯২ লক্ষ ৬৩ হাজার ৮৭৮ টাকা) জরিমানা করা হয়েছে। এমনকী চোখে চোখ রেখে আদায় করা হয়েছে ৭ কোটি ২ লক্ষ ২৩ হাজার ৪০০ টাকা। বাকি পড়ে রয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি ৭ লক্ষ টাকা। যা আদায়ে ঝাঁপিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।
ঠিক কী বলছেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা? এই বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডাঃ সিদ্ধার্থ নিয়োগী বলেন, ‘কোনও ছাড়াছাড়ি নয়। এই অভিযান চলবে।’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুঁশিয়ারিতে যুক্ত হয়েছে আরও ৭০০ বেসরকারি হাসপাতাল। সুতরাং পরিষেবার আওতায় এল ২২০০ প্রাইভেট হাসপাতাল। ২০১৯ সালেও সংখ্যাটা ছিল ১৫০০। এই প্রকল্পের এক কর্তা জানান, সল্টলেকের একটি অভিজাত প্রাইভেট হাসপাতাল ছাড়া রাজ্যের ছোট, মাঝারি, বড় প্রায় সমস্ত প্রাইভেট হাসপাতাল এখন স্বাস্থ্যসাথীতে যুক্ত হয়েছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? নবান্ন সূত্রে খবর, ছানি, প্রসব, হার্নিয়া, ফিশার চিকিৎসা এখন স্বাস্থ্যসাথীতে হয় না। রাজ্যের বহু হাসপাতাল টিকেই থাকে হার্নিয়া আর ফিশার অপারেশন করিয়ে। আবার চোখের বহু স্পেশালিটি এবং মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালে ছানি অপারেশন প্রচুর হয়। সেখানে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা রোগী ভর্তি হতে পারছেন না। এগুলিও এবার নিয়ে কার্ডে অন্তর্ভূক্ত করার কথা ভাবা হচ্ছে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup