বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় ব্যাপক গরমিলের অভিযোগ। কার্যত ১০ কোটি ক্ষতিপূরণের টাকা নয়ছয় করার অভিযোগ। এদিকে সেই টাকা নয়ছয়ের সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এদিকে সেই অভিযোগ ওঠার পর প্রায় ২ বছর কেটে গিয়েছে। এখনও প্রশাসন হাত গুটিয়ে বসে আছে বলে অভিযোগ। আর এনিয়েই রাজ্য সরকারকে কড়া ভর্ৎসনা হাইকোর্টের। কেন প্রশাসন হাত গুটিয়ে বসে রয়েছে? কেন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হল না? তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে হাইকোর্ট।
আদালত সূত্রে খবর, ২০১৭ সালে বন্যা পরিস্থিতির জেরে মালদায় অনেকের বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেই সময় ১৪ হাজার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের তালিকা তৈরি হয়। প্রতি বাড়ির মালিককে ৭০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও বলা হয় রাজ্যের তরফে। এদিকে একে একে প্রায় সকলের অ্যাকাউন্টে টাকা চলে যায়। কিন্তু অভিযোগ ওঠে যে তালিকায় খোদ বিডিও সই করেছিলেন সেই তালিকায় বিস্তর গরমিল। এদিকে সেই সময় বিষয়টি খতিয়ে দেখে বোঝা যায় তালিকায় ৭ হাজার জনের একটিই ফোন নম্বর উল্লেখ করা হয়েছে। অর্থ্যাৎ গোটা তালিকাটিই যে মনগড়া তা বুঝতে পারে ব্লক প্রশাসন। এদিকে স্থানীয় বড়ই পঞ্চায়েতের প্রধান একটি তালিকা তৈরি করেন।
বিডিও পরে জানিয়েছিলেন, তাঁকে উপর থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল লোকসভা ভোট এসে যেতে পারে। সেকারণে তালিকা খতিয়ে না দেখেই প্রধানের তালিকা ধরেই ক্ষতিপূরণের টাকা ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে পরবর্তী সময় প্রধানের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর করে ব্লক প্রশাসন। এখানেই রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলকে বিচারপতি বলেন, মামলার ১ মাস হয়ে গেলেও কেন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি? ৪০৯এর মতো গুরুত্বপূর্ণ ধারা রয়েছে আর আপনারা বসে আছেন? অভিযুক্তকে নোটিশ পাঠানো উপযুক্ত পদক্ষেপ নয়। আপনি এজি হয়ে পুলিশের কাঁধে দয়িত্ব এড়িয়ে যাবেন এটা হয় না।