হঠাই যদি করোনা হয়, তবে কি বেড মিলবে হাসপাতালে? নাকি বেডের জন্য হন্যে হয়ে ঘুরতে হবে আগের মতো? আবার কি সেই বেডের হাহাকার শুরু হয়েছে রাজ্য জুড়ে? করোনার দাপট বাড়তেই এনিয়ে নতুন করে প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে। কিন্তু পরিসংখ্যান অনুসারে দেখা যাচ্ছে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও, বেশিরভাগকেই হাসপাতালে যেতে হচ্ছে না। হোম আইসোলেশনে থেকে কয়েকদিন বিশ্রাম নিলেই সেরে উঠছেন অনেকেই। এর জেরে বিভিন্ন হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য বরাদ্দ প্রচুর বেড খালি পড়ে রয়েছে। পরিসংখ্যান অনুসারে দেখা যাচ্ছে, আক্রান্ত প্রায় ১০ হাজার বৃদ্ধি পেলেও গত ৬দিনে ভর্তি বৃদ্ধি এক শতাংশেরও কম।
এদিকে স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুসারে দেখা যাচ্ছে মোটামুটি ২৮শে ডিসেম্বর থেকে বাংলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকে। ওইদিন সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৭ হাজার ৪৫৭জন। এদিকে সেদিন হাসপাতালে মোট করোনা বেডের পরিমাণ ছিল ২৩ হাজার ৪৫৭টি। মোট বেডের মাত্র ১.২৪ শতাংশ ক্ষেত্রে রোগী ভর্তি ছিলেন। ২রা জানুয়ারির পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে সক্রিয় আক্রান্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৩৮জন। কিন্তু ভর্তি রয়েছেন মোট শয্যার মাত্র ২,১৪ শতাংশ। পরিসংখ্যান অনুসারে দেখা যাচ্ছে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও ৯৮ শতাংশ কোভিড বেডই ফাঁকা রয়েছে। তবে চিকিৎসকদের মতে, এবার করোনা অত্যন্ত সংক্রামক। সেক্ষেত্রে সতর্কতা মেনে চলতে হবে। তবে রোগী ভর্তি যৎসামান্যই বেড়েছে। সেক্ষেত্রে বেড নিয়ে হাহাকারের ছবিও এখনও নেই রাজ্য জুড়ে।