বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Bowbazar Disaster: মেজাজ হারালেন কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে, বউবাজারে চড় মারলেন এক ব্যক্তিকে!‌

Bowbazar Disaster: মেজাজ হারালেন কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে, বউবাজারে চড় মারলেন এক ব্যক্তিকে!‌

সপাটে চড় মারলেন স্থানীয় কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে।

রবিবার অভিযোগ জানাতে আসেন স্থানীয় এক হোটেল মালিক। তাঁর অভিযোগ এই সংস্থার বিরুদ্ধেই। তাঁরা ঠিকমতো খাবার পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ তুলেছেন তিনি। তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন সংস্থার এক কর্মীও। আর সেই সংস্থার এক কর্মীকেই সপাটে চড় মারলেন স্থানীয় কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে।

বউবাজার বিপর্যয়ে এখন এলাকার বাসিন্দাদের সুখী গৃহকোণে এখন অনিশ্চয়তার মেঘ। আর তাঁদের অভিযোগ শোনার জন্য খোলা হয়েছে অস্থায়ী ক্যাম্প। আজ, রবিবার থেকেই চালু হয়েছে অস্থায়ী ক্যাম্পটি। সেখানে ভিড়ও যথেষ্টই দেখা যাচ্ছে। তবে শুরুতেই সেখানে দেখা গেল ব্যাপক উত্তেজনা। বাসিন্দাদের কথা শোনা এবং খাবারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আইটিডি নামে একটি সংস্থাকে। আর সেই সংস্থার এক কর্মীকেই সপাটে চড় মারলেন স্থানীয় কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে।

কেন চটে গেলেন কাউন্সিলর?অস্থায়ী ক্যাম্পে রবিবার অভিযোগ জানাতে আসেন স্থানীয় এক হোটেল মালিক। তাঁর অভিযোগ এই সংস্থার বিরুদ্ধেই। তাঁরা ঠিকমতো খাবার পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ তুলেছেন তিনি। তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন সংস্থার এক কর্মীও। সেই কর্মী হঠাৎ ওই হোটেল মালিক বাসিন্দাকে বলে বসেন, তিনি তো ওড়িশা থেকে এখানে এসে ব্যবসা করে খাচ্ছেন। আইটিডি’‌র কর্মীর মুখে এমন অপমানজনক কথা শুনেই বেজায় চটে যান কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে। তখন তিনি ওই আইটিডি কর্মীকে ‘চড়’ মারতেও উদ্যত হন।

ঠিক কী বলেছেন কাউন্সিলর?‌ এই ঘটনা নিয়ে যখন চর্চা তুঙ্গে তখন কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে বলেন, ‘‌আমরা যাঁরা এখানে আছি, সবটাই আমরা মানবিকভাবে দেখতে চাই। মদন দত্ত লেনে একটি হোটেল ছিল। সেটি বহু পুরনো হোটেল। ওড়িশার বসবাসকারী মানুষরা এই হোটেলটি চালান। হোটেলের মালিক ওড়িশায় গিয়েছিলেন। তাঁর ছেলে হোটেলটি চালাচ্ছিলেন। হোটেলের মালিক ফিরলেও বিপর্যস্ত হোটেলে তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তাঁকে খাবার দেওয়া হচ্ছে না। তাঁকে বলা হচ্ছে, তুমি ওড়িশা থেকে এসেছো। তাই তোমার খাবার বন্ধ।’‌

তারপর সেখানে ঠিক কী ঘটেছে?‌ স্থানীয় কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে বলেন, ‘‌এমনকী আইটিডির কর্মীকে আমি বললাম খাবার দিতে। কিন্তু উনি বলছেন, ও ওড়িশা থেকে এসেছে। আমার থেকেও উনি বেশি জানেন। ওড়িশা থেকে কেউ দু’‌মুঠো খেতে এখানে আসেনি। এদের এখানে চার পুরুষের বাস। এসব দেখলেই বিরক্ত হয়ে যাই।’‌

বন্ধ করুন