কলকাতা পুরসভার বাজেট অধিবেশনের শেষ দিন ছিল মঙ্গলবার। অধিবেশনে বক্তব্য রাখছিলেন এক কাউন্সিলর। সেই সময় মোবাইলে তারস্বরে কথা বলে দেখা যায় অন্য এক কাউন্সিলরকে। ক্ষুব্ধ চেয়ারপার্সন মালা রায় ওই কাউন্সিলরের মোবাইল কেড়ে নিতে নির্দেশ দেন।
বাজেট অধিবেশনের শেষ দিনে বক্তব্য রাখছিলেন ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অনিন্দ্যকিশোর রাউত। দিল্লি, মুম্বই তুলনায় কত ভালো আছেন কলকাতার নাগরিকরা তা বোঝাচ্ছিলেন। সেই সময় দেখা যায় বক্তব্যে মন না দিয়ে ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর ডলি বসুকে দেখা যায় মোবাইলে তারস্বরে কথা বলতে। তক্ষুনি চেয়ারপার্সন মালা রায় অনিন্দ্য রাউতকে থামতে নির্দেশ দেন। পুরসভার এক কর্মীকে জলি বসুর মোবাইল কেড়ে নিতে বলেন। ওই কর্মী মোবাইলও আনতে যান। হেসে ফেলে মোবাইল দিতে চাননি কাউন্সিলর। তার পরেও থামেনি কাউন্সিলরদের মোবাইল ঘাটাঘাটি।
ক্ষুদ্ধ চেয়ারপার্সন যা বললেন
অধিবেশনে মন না দিয়ে কাউন্সিলরদের এই মোবাইল ঘাটাঘাটিতে বেজায় ক্ষুব্ধ চেয়ারপার্সন মালা রায়। তিনি বলেন, ' জরুরি কথা হতেই পারে তবে তা বাইরে গিয়ে বলবেন। অধিবেশনে কাউন্সিলর, মেয়র পারিষদরা বক্তব্য রাখছেন আর অন্যরা মোবাইল ঘাঁটছেন। ' নিয়ম অনুযায়ী মোবাইল নিয়ে অধিবেশনে এলেও তা সাইলেন্ট করে রাখতে হয়। কিন্তু প্রতি অধিবেশনেই দেখা যায় কাউন্সিলররা মোবাইল ঘাঁটছেন। ক্ষুব্ধ চেয়ারপার্সন আরও বলেন,'যাঁরা এখানে বলেন তাঁরা পড়াশুনো করে আসেন। মন দিয়ে যদি সেই বক্তব্য আপনারা না শোনেন তবে কেন আসেন?'
সময়ে আসা নিয়েও হুইপ জারি
অধিবেশন শুরু হওয়ার অনেক পর কাউন্সিলরদের ঢুকতে দেখা যায়। তা নিয়ে ছিল নানা অভিযোগও ছিল। সোমবার বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে সময় ঢোকার জন্য হুইপ জারি করেন চিফ হুইপ বাপাদিত্য দাশগুপ্ত। কিন্তু দ্বিতীয় দিনে দেখা যায় সময় পেরিয়ে গেলেও অনেকে দেরিতে ঢুকছেন। নিয়ম অনুযায়ী দেরিতে এলে অধিবেশনে ঢুকতে চেয়ারপাার্সনের অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু মঙ্গলবার অনেকেই তা না করে অধিবেশনে ঢুকে পড়েন। এতে ক্ষুব্ধ চেয়ারপার্সন মালা রায় বলেন, 'দেরি করে এসে গটমট করে ঢুকে পড়বেন না। ঢোকার একটা নিয়ম আছে, সেই নিয়ম মেনে চলুন।' এ সব মানা হয় কিনা তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে পরবর্তী অধিবেশন পর্যন্ত।