ফের টিকা বিভ্রাট। ভাঙরের কাশীপুর থানা এলাকার রাজাপুরের বাসিন্দা গঙ্গাধর মণ্ডল ও তাঁর স্ত্রী মৌসুমী মণ্ডল। জীবনে কোনও দিন গুজরাত যাননি। অথচ করোনা প্রতিষেধকের দ্বিতীয় টিকা তাঁরা গুজরাত থেকে নিয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে। তার জেরে একেবারে আকাশ ভেঙে পড়েছে দম্পতির উপর। আসলে নিউ টাউনের বাসিন্দা সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তির গাড়ির চালক হিসাবে কাজ করেন গঙ্গাধর মণ্ডল। গত ২৭শে সেপ্টেম্বর সোমনাথ তাঁর ওই গাড়ির চালককে দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে কোভিডের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার জন্য নিয়ে যান। এদিকে তখনই ওই নার্সিংহোম থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় গঙ্গাধরের কোভিডের দ্বিতীয় টিকা নেওয়া হয়েছে গুজরাত থেকে। সেকারণে ওই নার্সিংহোম তাঁকে টিকা দিতে চায়নি। তবে শেষ পর্যন্ত সরকারি শিবির থেকে তিনি দ্বিতীয় টিকা পেয়েছেন। কিন্তু তার কোনও সার্টিফিকেট পাননি।
এদিকে মৌসুমীর ক্ষেত্রেও একই বিপত্তি। গুজরাতের শংসাপত্রে দেখা যাচ্ছে গত ২৩শে সেপ্টেম্বর আমেদাবাদের বিরোচন নগর প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বিধিবেন পটেল নামে এক কর্মী তাঁদের প্রতিষেধক টিকা দিয়েছেন। তবে বাস্তবে মৌসুমী রাজারহাটে ২৫শে সেপ্টেম্বর টিকা নিয়েছিলেন। আর ২৭শে সেপ্টেম্বর দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে টিকা নিতে গিয়েছিলেন গঙ্গাধর। এখানেই প্রশ্ন উঠছে কীভাবে টিকা নেওয়ার আগেই গুজরাতের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তাঁদের নামে রেজিস্ট্রেশন হয়ে গেল? তবে গোটা ঘটনায় ধন্ধে পড়েছেন স্বাস্থ্য আধিকারিকরাও। কীভাবে গুজরাতে তাঁদের নামে টিকার শংসাপত্র ইস্য়ু তার কোনও যুৎসই উত্তর পাচ্ছেন না তাঁরা। এর সঙ্গেই এই রাজ্যে টিকা নেওয়ার পরেও গঙ্গাধর কেন শংসাপত্র পেলেন না এই বিষয়টিও খতিয়ে দেখছেন স্বাস্থ্য় দফতরের আধিকারিকরা।