১৯৯৯ সালের ঘটনা। চলন্ত বাস থেকে ধাক্কা মেরে এক পুলিশকর্মীকে খুন করেছিলেন কয়েকজন যাত্রী। এতদিন ধরে চলছিল মামলা। অবশেষে প্রায় ২০ বছর পর সেই মামলায় একজন অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করল আলিপুরের আদালত। আজ বৃহস্পতিবার এই মামলায় সাজা ঘোষণা করবেন বিচারক।
মৃত পুলিশকর্মীর নাম সত্যনারায়ণ গুপ্তা। তিনি ভবানীপুর থানার হেড কনস্টেবল ছিলেন। ডিউটি শেষ করে তিনি এল ওয়ান বাসে করে বাড়ি ফিরছিলেন। তার সঙ্গে ছিলেন শ্যামবাজার ট্রাফিক গার্ডের কনস্টেবল নারায়ন রায়। ডিউটি শেষ করে উর্দি পরা অবস্থাতেই দুজনে বাড়ি ফিরছিলেন। তড়িঘড়ি বাসে ওঠে তারা দরজাতেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। তখনই জানলা দিয়ে থুতু ফেলা নিয়ে কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে তাদের বচসা বাঁধে। বচসা পরিণত হয় হাতাহাতিতে। আর সেই হাতাহাতি থেকে একজন যাত্রী দুই পুলিশকর্মীকে চলন্ত বাস থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের দুজনকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। ট্রাফিক কনস্টেবল নারায়ণ রায় সুস্থ হয়ে গেলেও চিকিৎসকরা প্রাণে বাঁচাতে পারেননি হেড কনস্টেবল সত্যনারায়ণ গুপ্তাকে।
পুলিশ কর্মী খুনের ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে পুলিশ। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ নম্বর ধারায় খুনের অভিযোগ দায়ের করে পুলিশ। এরপরে ঘটনার তদন্তে নামে কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখা।
সেই সময় কলকাতায় সিসিটিভির নজরদারি ছিল না। ফলে বাসের যাত্রীদের ভিড়ে কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তা চিহ্নিত করা পুলিশের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়েছিল। শুধুমাত্র বাসে পড়ে থাকা একটি ব্যাগের সূত্র ধরে মূল অভিযুক্তকে খুঁজে বার করেছিলেন গোয়েন্দারা। অনুপম ব্যানার্জি নামে এক অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেফতার করে। মামলাটি চলছিল আলিপুর আদালতে। অবশেষে বুধবার সেই মামলায় অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। এই মামলার তদন্তকারী অফিসার হোমিসাইড শাখার সাব-ইন্সপেক্টর জয়ন্ত চক্রবর্তী। তিনি গোটা বিষয়টির তদন্ত করেন।