২০১৮ সালের ৩ মে নিউটাউনে নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনায় ডেলিভারি বয়কে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত। শনিবার উত্তর ২৪ পরগনা জেলা আদালত অভিযুক্ত ডেলিভারি বয় সোমনাথ পালকে দোষী সাব্যস্ত করে। প্রায় ৫ বছর মামলা চলার পর অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করায় স্বস্তি পেলেন নির্যাতিতা নাবালিকার পরিবার। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী সোমবার সোমনাথের সাজা ঘোষণা করবেন বিচারক।
কী ঘটেছিল?
আদালত সূত্রের খবর, ২০১৮ সালের ৩ মে, ওই নাবালিকা নিউটাউনের একটি স্কুল থেকে ফিরে পার্কে খেলছিল। সেই সময় ৯ বছরের ওই নাবালিকার কাছে একটি আবাসনের ঠিকানা জানতে চেয়েছিল অভিযুক্ত ডেলিভারি বয়। তখন নাবালিকা হাত দিয়ে ডেলিভারি বয়কে ঠিকানা দেখিয়ে দেয়। কিন্তু ডেলিভারি বয় নাবালিকাকে সঙ্গে যাওয়ার জন্য বলে। সরল মনে বিশ্বাস করে নাবালিকাও বাড়িটি দেখিয়ে দেওয়ার জন্য ডেলিভারি বয়ের বাইকে চেপে পড়ে। এরপর ডেলিভারি বয় নাবালিকাকে ওই আবাসনে নিয়ে যায়। সেখানে ১৪ তলার ফ্ল্যাটে ওঠে। এরপর নির্জন জায়গায় ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে ডেলিভারি বয়। তারপরে সেখানে ফেলে রেখে সে চলে যায়। পরে নাবালিকার কাছ থেকে ধর্ষণের বিষয়টি জানার পরে থানায় অভিযোগ জানান তার পরিবারের সদস্যরা।
ঘটনায় তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ওই ফ্ল্যাটের রেজিস্টার খাতা খতিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা। কিন্তু, কেউ যাতে ফাঁসাতে না পারে তার জন্য ডেলিভারি বয় রেজিস্টার খাতায় নাম লেখে। সেইসঙ্গে সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখে সোমনাথকে পুলিশ গ্রেফতার করে। ফুটেজে দেখা যায়, বিকেল ৪টে ১০মিনিট নাগাদ নাবালিকার সঙ্গে সোমনাথকে ঢুকতে দেখা যায়। সাড়ে ৪ টা নাগাদ সে বেরিয়ে আসে। অথচ রেজিস্টরে লেখা রয়েছে ৪টে ১৭ মিনিট। এরপর হস্ত বিশেষজ্ঞদের দিয়ে রেজিস্টারে লেখা সময় এবং সই সোমনাথের হাতের লেখার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হয়। সেখানে ধরা পড়ে সোমনাথ। জানা গিয়েছে, সোমনাথ বারাসতের বাসিন্দা। এই মামলায় ইতিমধ্যেই একাধিক ব্যক্তির সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ডাক্তারি পরীক্ষার রিপোর্টও জমা দেওয়া হয়েছে। এই সমস্ত কিছু তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে সোমনাথকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। উল্লেখ্য ধর্ষণের ঘটনার পর থেকে আতঙ্কের মধ্যে ছিল নাবালিকা। চিন্তায় ভেঙে পড়েছিলেন তার বাবা-মা। সেই ঘটনায় বিচার পাওয়ায় খুশি নাবালিকার বাবা-মা।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup