গত বছরের জুলাইয়ে নিরাপত্তার বেড়াজাল টপকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে ঢুকে পড়েছিলেন হাফিজুল মোল্লা নামে হাসনাবাদের এক যুবক। সেই ঘটনায় যুবককে দোষী সাব্যস্ত করে এক বছরের কারাদণ্ড দিল আলিপুর আদালত। সরকারি আইনজীবী সৌরীন ঘোষাল জানান, ওই যুবকের বিরুদ্ধে যথেষ্ট সাক্ষ্য প্রমাণ থাকায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করে কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক। তবে যুবকের আর্থিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে তাকে কোনও জরিমানা করেনি আদালত।
প্রসঙ্গত, কখনও মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে আত্মহত্যার চেষ্টা, আবার কখনও আদিগঙ্গা পেরিয়ে তাঁর বাড়িতে ঢোকার চেষ্টার ঘটনায় বারবার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কিন্তু, সেই সমস্ত কিছু ছাড়িয়ে গত বছরের জুলাই মাসে একেবারে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতেই ঢুকে পড়েছিলেন হাফিজুল মোল্লা। তার কাছে ছিল লোহার রোড। রাত ১ টা ২০ মিনিট নাগাদ পাঁচিল টপকে ওই যুবক মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঢুকেছিলেন। কনফারেন্স রুমের পিছনে ৭ ঘণ্টা লুকিয়ে থাকার পর অবশেষে নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে ধরা পড়েন ওই যুবক। এই ঘটনার পরে শোরগোল পড়ে যায় গোটা রাজ্যে। মুখ্যমন্ত্রী সাধারণত জেড প্লাস ক্যাটাগুড়ির নিরাপত্তা পেয়ে থাকেন। তা সত্ত্বেও কীভাবে নিরাপত্তারক্ষীদের নজরদারি এড়িয়ে ওই যুবক বাড়িতে ঢুকে পড়লেন তাই নিয়ে উঠেছিল প্রশ্ন।
সেই ঘটনায় ওই যুবককে গ্রেফতারের পর প্রথমে পুলিশ হেফাজত ও পরে জেল হেফাজতে পাঠায় আদালত। গত ৪ জুলাই থেকে জেলে রয়েছেন ওই যুবক। ফলে এ বছরের ৩ জুলাই তার এক বছরের কারাদণ্ডের মেয়াদ পূর্ণ হবে। তারপরে তিনি মুক্তি পেতে পারেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ২৪ ঘণ্টা ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা থাকে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সবসময় ৩২ থেকে ৩৬ জন নিরাপত্তারক্ষী থাকেন। তাদের মধ্যে অন্তত ১০ জন কমান্ডো। পার্সোনাল সিকিউরিটি অফিসাররাও থাকেন। সব মিলিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকেন ১৫০ জন অধিকারিক। তা সত্ত্বেও কীভাবে ওই যুবক মুখ্যমন্ত্রী বাড়িতে ঢুকে পড়ল তাই নিয়ে ওঠে প্রশ্ন।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup