গত সোমবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ থেকে ২৫ জন পড়ুয়া মিছিল করার সময় ৯ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তারমধ্যে আগেই দুজন জামিন পেয়েছিকেন। বাকি ৭ জন পড়ুয়াকেউ জামিন দিয়ে দিল আদালত। গতকাল শুক্রবার আদালত জানায়, 'ধৃতদের আটকে রাখার কোনও কারণ খুঁজে পাচ্ছি না।' এর পরেই তাদের জামিন দিয়েছে আদালত।
ধৃত পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া সহ বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ দায়ের করেছিল পুলিশ। ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল শরদিন্দু উদ্দীপন নামে একজন সমাজকর্মীর ফেসবুকে বিতর্কিত পোস্ট করাকে কেন্দ্র করে। এই অভিযোগে প্রথমে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। পরে অবশ্য তিনি জামিন পেয়ে গেলেও তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের ধারা যোগ করেছিল পুলিশ। তারই প্রতিবাদে সিপিআইএমএলএ'র ছাত্র সংগঠনের ২০ থেকে ২৫ জন পড়ুয়া সোমবার পুলিশের অনুমতি নিয়ে মিছিল করছিলেন। সেই সময় পুলিশ তাদের মিছিলে লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ ওঠে।
এদিকে, ধৃতদের মধ্যে ২ ছাত্রী সৌমি জানা এবং বর্ষা বড়াল জামিন পাওয়ার পর পুলিশের বিরুদ্ধে বেধড়ক মারধর এবং অত্যাচারের অভিযোগ তোলেন। পুলিশের পক্ষ থেকেও পাল্টা মহিলা পুলিশকে মারধরের অভিযোগ ওঠে ছাত্রীদের বিরুদ্ধে। তার ভিত্তিতে পুলিশের কাছে ইনজুরি রিপোর্ট দেখতে চাই আদালত। তা দেখার পরে বাকি সব পড়ুয়াকে জামিন দিয়েছে আদালত। প্রত্যেককে ২০০০ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন মঞ্জুর করেন বিচারপতি।