কাঁথি পুরসভার শ্মশানের জমি অবৈধভাবে বিক্রির অভিযোগে আদালত থেকে স্বস্তি পেলেন বিজেপি নেতা সৌমেন্দু অধিকারী। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্ট স্পষ্ট করেছে, ১৩ জুলাই পর্যন্ত ওই মামলায় সৌমেন্দুবাবুকে গ্রেফতার করতে পারবে না তারা। তবে পুলিশকে তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। মামলাটির পরবর্তী শুনানি ১৩ জুলাই।
কাঁথির রাঙামাটি শ্মশানের জমিতে দোকানঘর বানিয়ে সৌমেন্দুবাবু বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ বর্তমান পুরবোর্ডের। অভিযোগ, পুরপ্রধান থাকাকালীন, পুরসভার অনুমতি ছাড়াই জমির চরিত্র বদল করে বেশ কয়েকটি দোকানঘর বানান সৌমেন্দুবাবু। সেই ঘর তৈরিতে টেন্ডার ডাকা হয়নি। দোকানঘরগুলি ১০ লক্ষ টাকা করে বিক্রি করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন মালিকরা। কিন্তু পুরসভার তহবিলে কোনও টাকা জমা পড়েনি। পুরসভার দাবি, দোকানঘর বিক্রি করে প্রায় ১ কোটি টাকা পেয়েছিলেন সৌমেন্দুবাবু। এই মর্মে কাঁথি থানায় সৌমেন্দুবাবুসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে FIR করেছেন বর্তমান পুরপ্রধান।
যদিও সৌমেন্দুবাবুর দাবি, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে। তাঁর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘এর আগেও সৌমেন্দুবাবুর বিরুদ্ধে ত্রিপল চুরি ও কাঁথি কলেজে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছিল। ২টি অভিযোগেরই তদন্ত বন্ধ রাখতে বলেছে আদালত।’