কলকাতার জোড়াবাগানে নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন ও হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার অভিযুক্ত রাজ কুমার ওরফে লম্বুকে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিল বিশেষ পকসো আদালত। আদালতে ঘটনাটিকে বিরলতম বলে দাবি করেছে পুলিশ। যাতে দোষী প্রমাণিত হলে মৃত্যুদণ্ড হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে রাজ কুমারের।
পুলিশের দাবি জেরার মুখে অপরাধ কবুল করেছে দারোয়ান রাজ কুমার। জানিয়েছে, ওই রাতে মদের সঙ্গে বিরিয়ানি আর চিপস খাচ্ছিল সে। তখনই খেলতে খেলতে বাড়িতে ঢুকে পড়ে নাবালিকা। খাবার দেওয়ার অছিলায় তাকে নিজের ঘরে ডেকে নিয়ে যায় সে। এর পর তাকে মাদক মেশানো খাবার খাইয়ে অচেতন করে। এর পর নাবালিকার ওপর যৌন নির্যাতন চালায় সে। ধরা পড়ে যাওয়ার পর তাকে গলা কেটে খুন করে রেখে আসে তিন তলার সিঁড়ির ওপরে।
পুলিশের দাবি, খুনের পর সম্পূর্ণ ঠান্ডা মাথায় প্রমাণ লোপাট করে রাজকুমার। ঘরের আলো বন্ধ করে রক্তের দাগ পরিষ্কার করে। তার পর ভবনটির জলের পাম্প চালায়। এর পর রাস্তায় হাঁটতে বেরিয়ে পড়ে সে। ঘুরে এসে নিজের ঘরে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়ে। তার ঘরের আলোর স্যুইচ-সহ একাধিক জায়গায় রক্তের দাগ মিলেছে।
এদিন ঘটনাকে বিরলতম বলে দাবি করে পুলিশ। এর পর রাজ কুমারকে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার অনুমতি দেন বিচারক। রাজ কুমারকে হেফাজতে পেয়ে তদন্ত আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চান গোয়েন্দারা। ঘটনায় আরও কেউ যুক্ত কি না তা জানতে অভিযুক্তকে আরও জেরা করবেন তাঁরা। সঙ্গে ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে অভিযুক্তকে দিয়ে ঘটনার পুনর্গঠন করানোর সম্ভাবনাও রয়েছে।
ওদিকে রাজ কুমারের গ্রেফতারির পর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছে জোড়াবাগানের বৈষ্ণব শেঠ লেন। অভিযুক্তকে তাদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বাসিন্দারা।