আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মহম্মদ আলিকে হেনস্থায় অভিযুক্ত গিয়াসউদ্দিন মণ্ডলকে ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিল বারাসত আদালত। রবিবার তাকে নিউটাউনের মেস থেকে গ্রেফতার করে বিধাননগর পুলিশ।
এদিন গিয়াসউদ্দিনের জামিনের আবেদন করে তার আইনজীবী বলেন, মক্কেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট থেকে উপাচার্যের দফতর পর্যন্ত একাধিক নিরাপত্তাবলয় রয়েছে। সেসব পেরিয়ে কী করে সেখানে পৌঁছল গিয়াসউদ্দিন? তার বিরুদ্ধে দেওয়া একাধিক ধারার কোনও প্রমাণ পুলিশ দিতে পারেনি বলেও দাবি করেন তিনি।
পালটা সরকারি আইনজীবী দাবি করেন, গিয়াসউদ্দিনের বিরুদ্ধে এক আগেও নানা অভিযোগ উঠেছে। তার বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছে পুলিশ। ঘটনার দিন প্রভাবশালীদের নাম করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ঢুকেছিল বহিষ্কৃত গিয়াসউদ্দিন। বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করেছে সে। দুপক্ষের সওয়াল শুনে গিয়াসউদ্দনকে ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
কিন্তু সরকারি আইনজীবীর সওয়ালে প্রশ্ন উঠছে, কারা সেই প্রভাবশালী, যাদের নাম করে বহিষ্কৃত হওয়া সত্বেও গিয়াসউদ্দিন নিরাপত্তাবলয় ভেদ করে উপাচার্যের কাছে পৌঁছে গেল?