স্ত্রীকে দিয়ে অশ্লীল ভিডিয়ো তৈরি করে বাংলাদেশে বিক্রির অভিযোগে মাত্র বধূ নির্যাতনের ধারা! এই প্রশ্ন তুলে বৃহস্পতিবার হাওড়া সিটি পুলিশকে তুমুল ভর্ৎসনা করল কলকাতা হাইকোর্ট। অভিযুক্ত ব্যক্তি কেন এখনও ধরা পড়ল না সেই প্রশ্নও তুলেছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। গোটা ঘটনায় পুলিশের ভূমিকাতে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছেন বিচারপতি।
আরও পড়ুন - জেনারেটারে চুল জড়িয়ে ভয়াবহ মৃত্যু গৃহবধূর, জগদ্ধাত্রী পুজোর শোভাযাত্রায় যা ঘটল
পড়তে থাকুন - ছাত্রীদের মোবাইলে অশালীন মেসেজ, কুপ্রস্তাব, খারাপভাবে স্পর্শ, কাঠগড়ায় শিক্ষক
হাওড়ার সাঁকরালেইলের বাসিন্দা এক গৃহবধূর অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে তাঁর অশ্লীল ভিডিয়ো বানাত স্বামী। সেই ভিডিয়ো বিক্রি করত বাংলাদেশে। সেজন্য বাংলাদেশে নিয়মিত যাতায়াত ছিল স্বামীর। এর পর বাংলাদেশ থেকে অচেনা লোকেরা তাঁদের বাড়িতে আসতে শুরু করে। তাদের সঙ্গে বধূকে যৌনতায় লিপ্ত হতে বাধ্য করতেন স্বামী। অরাজি হলে জুটত মারধর। গোটা ঘটনা শাশুড়িকে জানালে তিনি বলেন, মেনে নেও। এমনকী বাপের বাড়িতে ঘটনার কথা জানালে প্রাণ নাশের হুমকি দেন স্বামী। অবশেষে ঘটনার কথা জানিয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন বধূ। অভিযোগ, সেই ঘটনার তদন্তের নামে পুলিশ অভিযুক্তদেরই রক্ষা করার চেষ্টা করছে। শুধুমাত্র বধূ নির্যাতনের ধারায় মামলা দায়ের করেছে তারা। ১ মাস ধরে তদন্ত চালানোর পর শুধুমাত্র যে ফোনটি দিয়ে অশ্লীল ভিডিয়ো রেকর্ড করা হত সেটি উদ্ধার করতে পেরেছে পুলিশ। এখনও ধরতে পারেনি অভিযুক্তকে।
আরও পড়ুন - প্রিজন ভ্যানে ওঠার আগে ‘ফ্লাইং কিস’ ছুঁড়ল সঞ্জয়, বেপরোয়া আরজি কর কাণ্ডের সিভিক
এই মামলায় বৃহস্পতিবার বিচারপতি ঘোষ বলেন, ‘এটা শুধু বধূ নির্যাতনের। এর পিছনে আন্তর্জাতিক চক্র থাকতে পারে। পুলিশের গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা উচিত ছিল। কিন্ত তা তারা করেনি। একটা বধূ নির্যাতনের ধারা দিয়ে ছেড়ে দিয়েছে। একটা ফোন উদ্ধার করতে তাদের ১ মাস সময় লেগেছে। ততদিনে তো তথ্যপ্রমাণ সব নষ্ট হয়ে গিয়েছে।’
নির্যাতিতার আইনজীবী বলেন, ‘অভিযুক্ত একজন সাধারণ সেলাই ব্যবসায়ী ছিলেন। সেখান থেকে কিছুদিনের মধ্যে ফুলে ফেঁপে উঠেছেন তিনি। বাংলাদেশে যাতায়াতের সঙ্গে তাঁর অবস্থার পরিবর্তনের কী সম্পর্ক তা জানতেও তদন্ত প্রয়োজন।’