টেস্টিং হচ্ছে না বাংলায়, এই নিয়ে মারাত্মক সমালোচনা ঘরে-বাইরে শুনতে হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তারপর গত এক মাসে দশ গুণ বেড়েছে বাংলায় টেস্টিং। কিন্তু এখনও অন্য বড় রাজ্য যেগুলি করোনা আক্রান্ত, তাদের থেকে অনেকটাই পিছিয়ে বাংলা। রাজ্যে সবে তিরিশ হাজার টেস্ট হয়েছে। অন্য রাজ্যগুলি এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহেই সেই সংখ্যায় পৌঁছে গিয়েছিল। রাজ্যে এই মুহূর্তে করোনা আক্রান্ত ১৬৭৮। করোনা থাকা অবস্থায় মৃত ১৬০।
মে মাসের সাত তারিখ অবধি রাজ্যে ৩২, ৫৭২টি টেস্ট করা হয়েছে। স্বাস্থ্যদফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন যে এপ্রিলের ছয় তারিখ যেখানে তারা ১৮৬টি স্যাম্পেল পরীক্ষা করেছিলেন, মে মাসের সাত তারিখ ২৬১১ স্যাম্পেল টেস্ট হয়েছে। অর্থাত্ দশ গুণের বেশি বেড়েছে টেস্টিং।
তবে রাজ্যের টেস্টিং নিয়ে শুধু বিরোধীরাই নয়, বহু চিকিত্সক সংগঠনও প্রশ্ন তুলেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক পর্যন্ত তাদের চিঠিতে রাজ্যকে বলেছে যে জনসংখ্যার অনুপাতে পশ্চিমবঙ্গে খুব কম পরীক্ষা হচ্ছে। রাজ্যে করোনায় মৃত্যুহার সারা দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি, এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
তবে রাজ্য সরকারের আধিকারিকরা কম টেস্টের জন্যে আইসিএমআরের দিকেই আঙুল তুলেছে। এক স্বাস্থ্য কর্তা জানিয়েছেন যে প্রতি দশ লক্ষে এখন আমরা ৩০০টি টেস্ট করছি। এটা আরও বাড়বে। দশ দিন আগেই সংখ্যাটি ছিল ১৮৮। প্রথম দিকে আমাদের ল্যাব ছিল না। পরে কিট খারাপ বেরোয়। এর ফলেই টেস্টিং বৃদ্ধি হয়নি সেভাবে।
কতদিনে ৩০ হাজার টেস্ট করেছে রাজ্যগুলি-
রাজ্যসরকার নাইসেডের কাছে কম কিট পাঠাচ্ছে, এমন অভিযোগও উঠেছে। কিন্তু স্বাস্থ্যকর্তাদের মতে এখন পাঁচটি বেসরকারি সহ ১৭টি ল্যাবে পরীক্ষা চলছে। অনেক জেলায় চলছে পুল স্যাম্পলিং। রাপিড টেস্ট চালু করলেও সেটিতে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় তা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
রাজ্যে ৩০,০০০ টেস্ট হলেও অনেক রাজ্যে ইতিমধ্যেই লাখের গণ্ডি ছাড়িয়েছে। মহারাষ্ট্র দুই লক্ষ, অন্ধ্র প্রদেশ দেড় লক্ষ টেস্ট করেছে এখনও।
পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় রেকর্ড বৃদ্ধি। শুক্রবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনে জানানো হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩০ জনের দেহে সংক্রমণের প্রমাণ মিলেছে। যার ফলে পশ্চিমবঙ্গে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১,৬৭৮। এছাড়া মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। ফলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৬০।