গোটা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। তার মধ্যে সব থেকে এগিয়ে কলকাতা ও লাগোয়া জেলা উত্তর ২৪ পরগনা। রাজ্যের মোট করোনা রোগীর প্রায় ৫০ শতাংশই এই ২ জেলার। ফলে আশঙ্কাও বাড়ছে ক্রমশ। এরই মধ্যে আশার কথা শোনালেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন। তাঁর দাবি, ১৫ অগাস্টের পর কলকাতা থেকে পাত্তাড়ি গোটানো শুরু করবে করোনা।
একাধিক সংস্থার সমীক্ষাকে শিখণ্ডি করে এই দাবি করেছেন শান্তনুবাবু। এর মধ্যে রয়েছে ভারতীয় সংস্থা ICMR ও সমীক্ষক সংস্থা থাইরোকেয়ার। এই দুই সমীক্ষার তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘কোনও জায়গায় ১৭ থেকে ২০ শতাংশ মানুষের দেহে অ্যান্টিবডি তৈরি হলেই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসছে। দিল্লিতে ২২.৫ শতাংশ মানুষের দেহে অ্যান্টিবডি তৈরির পর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এসেছে। সেই হিসাব মতো কলকাতায় সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসতে আরও ২ সপ্তাহ লাগবে।’
ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন সভাপতি শান্তনুবাবু জানিয়েছেন, ‘কলকাতার জনসংখ্যা অনুপাতে আর ১০,০০০ মানুষ আক্রান্ত হওয়ার পর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করবে।’
তিনি জানিয়েছেন, ‘কলকাতায় করোনা সংক্রমণের শুরুতে একজন আক্রান্তের থেকে গড়ে ৩ জন সংক্রমিত হচ্ছিলেন। সেই গড় এখন কমে ১.২২ হয়েছে। মানুষের দেহে অ্যান্টিবডি বাড়লে তা কমে ১ শতাংশের নীচে চলে আসবে। তখনই কমতে শুরু করবে সংক্রমণ।’
বলে রাখি, গত মাসে ICMR-এর সমীক্ষা অনুসারে কলকাতায় ১৪ শতাংশ মানুষের দেহে করোনার অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে।
সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, মঙ্গলবার পর্যন্ত কলকাতায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৯,৫৩১। রোজ ৭০০-র কিছু বেশি মানুষ নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন। এখনো পর্যন্ত কলকাতায় মৃত্যু হয়েছে ৭০৬ জনের। আরও ১০,০০০ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর করোনা নিয়ন্ত্রণে আসা শুরু হলে কলকাতায় ততদিনে মৃত্যু হবে আরও ৩৬১ জনের।