সময়ের ব্যবধান মাত্র আড়াই ঘণ্টা। ফের বদলে গেল পশ্চিমবঙ্গে করোনায় মৃতের সংখ্যা। ৭ থেকে কমে ফের সেই সংখ্যা দাঁড়াল ৩-এ। আর দুবারই, ভিন্ন ২টি তথ্য ঘোষণা হল সেই নবান্ন থেকে। যার ফলে রাজ্যে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ঠিক কত তা নিয়ে চরম বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৪.৩০ মিনিট নাগাদ নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করেন করোনা প্রতিরোধে গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্যরা। সেখানে তাঁরা জানান, রাজ্যে এই মুহূর্তে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৭। তার মধ্যে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়। রাজ্যে মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫৩ জন। তার মধ্যে ৩ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি গিয়েছেন। ফলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত অবস্থায় চিকিৎসাধীনের সংখ্যা এই মুহূর্তে ৪৩ জন। বিশেষজ্ঞ কমিটির দেওয়া সেই তথ্য বদলে যায় সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ। মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা জানান, ‘পশ্চিমবঙ্গে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫৩ জন। ৩ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। আর ৪ জন করোনা আক্রান্ত অবস্থায় মারা গেলেও তাঁদের মৃত্যুর কারণ করোনা সংক্রমণ নয়।’
মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে ওই চার জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। পরে তাদের পরীক্ষা রিপোর্টে করোনা পজিটিভ আসে। তবে ওই চার জনের মৃত্যু কী কারণে হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। তাই ওই মৃত্যুকে করোনায় মৃত্যু বলে ধরছে না।
বুধবার নবান্নে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৩ বলে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংবাদমাধ্যমকে দায়িত্ববান হয়ে তথ্য পরিবেশনের উপদেশও দেন তিনি। যদিও তখন রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত অবস্থায় মৃতের সংখ্যা ছিল ৬। রাতে নয়াবাদের বৃদ্ধ মারা গেলে সংখ্যা বেড়ে হয় ৭।
বিজেপির দাবি, ডেঙ্গুর মতো করোনায় মৃতের সংখ্যাও কমিয়ে দেখাতে উঠেপড়ে লেগেছে সরকার। যার ফলে কমে গিয়েছে মৃতের সংখ্যা। এই নিয়ে কটাক্ষ করে বৃহস্পতিবার টুইট করেন বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাতে তিনি লেখেন, ‘এই রাজে ডেঙ্গু হল অজানা জ্বর। আর করোনা হল নিউমোনিয়া ও কিডনির সমস্যা।’