পশ্চিমবঙ্গে করোনায় মৃত্যু কমিয়ে দেখানো হচ্ছে। বিশেষ করে বেসরকারি হাসপাতালগুলি করোনায় মৃতের সংখ্যা কমিয়ে দেখাচ্ছে। মঙ্গলবার এমনটাই দাবি করলেন লোকসভায় কংগ্রেসের পরিষদীয় দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী। সঙ্গে তিনি বলেন, একঘরে হয়ে যাওয়ার ভয়ে করোনার উপসর্গ থাকলেও গোপন করছেন বহু মানুষ।
এদিন অধীরবাবু বলেন, পশ্চিমবঙ্গে করোনায় মৃত্যু চিহ্নিত করতে কোনও সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি নেই। ফলে গ্রামাঞ্চলে কেউ করোনায় মারা গেলে চিহ্নিত করা যাচ্ছে না। তাছাড়া পশ্চিমবঙ্গের বেসরকারি হাসপাতালগুলি করোনায় মৃত্যু কমিয়ে দেখাচ্ছে। কোনও হাসপাতালে অনেকের করোনায় মৃত্যু হয়েছে এমনটা খবর ছড়ালে সেখানে নতুন রোগী আসা কমে যেতে পারে। সেই ভয়ে করোনায় মৃতের সংখ্যা কমিয়ে দেখাচ্ছে বেসরকারি হাসপাতালগুলি। অধীর চৌধুরী বলেন, এটা রাজনীতির বিষয় নয়। সাধারণ মানুষ এর ফলে ভুগছে।
এছাড়া পশ্চিমবঙ্গে একঘরে হয়ে যাওয়ার ভয়ে বহু মানুষ করোনার উপসর্গ থাকলেও তা জানাচ্ছেন না বলে দাবি করেন অধীর। বলেন, গ্রামাঞ্চলে করোনা চিহ্নিত কারার কোনও পদ্ধতি নেই। ফলে কে করোনায় মারা যাচ্ছে আর কার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বোঝা যাচ্ছে না।
গ্রামাঞ্চলে ডেথ সার্টিফিকেট চিকিৎসকের বদলে পঞ্চায়েত প্রধান দিচ্ছেন বলে দাবি করেন অধীরবাবু। তাঁর দাবি, অধিকাংশ পঞ্চায়েত যেহেতু তৃণমূলের দখলে তাই সেখানেও কারচুপি হচ্ছে।