করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রুখতে শনিবার থেকে পশ্চিমবঙ্গের অন্তত ১০টি জায়গায় শুরু হয়েছে কমপ্লিট লকডাউন। এই এলাকাগুলিতে প্রশাসনের কর্মী ছাড়া কারও রাস্তায় বেরনো নিষিদ্ধ। আগামী ১৪ দিন বন্ধ থাকবে সমস্ত দোকান। চলবে না কোনও গাড়ি।
কমপ্লিট লকডাউন কী?
করোনা সংক্রমণ রুখতে এই এলাকায় কঠোর ভাবে পালিত হবে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং। সাধারণ লকডাউনে থাকা এলাকায় সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং পালনের জন্য নাগরিকদের শুভবুদ্ধির ওপর নির্ভর করেছে প্রশাসন। কিন্তু কমপ্লিট লকডাউনে প্রশাসন মানুষকে বাড়ির ভিতরে থাকবে বাধ্য করবে। বাড়ির চৌকাঠের বাইরে পা দিলেই কঠোর ধারায় দায়ের হতে পারে মামলা।
জনজীবনে প্রভাব
কমপ্লিট লকডাউনে থাকা এলাকার কোনও বাসিন্দা পুলিশের অনুমতি ছাড়া এলাকার বাইরে বেরোতে পারবেন না।
কমপ্লিট লকডাউনে থাকা এলাকায় বাইরের কেউ ঢুকতে পারবেন না।
ওষুধের দোকান ছাড়া কোনও দোকান খোলা যাবে না।
অ্যাম্বুল্যান্স প্রশাসনের গাড়ি ছাড়া কোনও যানবাহন রাস্তায় চলবে না।
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস প্রত্যেকের বাড়িতে পৌঁছে দেবে প্রশাসন। নির্দিষ্ট নম্বরে ফোন বা হোয়াটসঅ্যাপ করে অর্ডার দেওয়া যাবে জিনিসপত্র।
স্বাস্থ্যবিধি
কমপ্লিট লকডাউনে থাকা এলাকায় অত্যন্ত সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে বাসিন্দাদের। এমনকী বাড়ির ভিতরেও সোশ্যাল ডিসট্যানসিং পালন করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
বাড়ির কোনও সদস্যের করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে তা প্রশাসনকে জানাতে হবে।
কমপ্লিট লকডাউনে থাকা এলাকায় করোনাভাইরাসের Rapid Test করবে প্রশাসন। সেক্ষেত্রে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করতে বাধ্য থাকবেন বাসিন্দারা। নইলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার অধিকার রয়েছে প্রশাসনের।
আপাতত ১৪ দিন এই কমপ্লিট লকডাউন চলবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।