SSKM এর ট্রমা কেয়ার ইউনিট থেকে পালিয়ে পায়ে ৫৪ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে বাড়ি পৌঁছলেন করোনা রোগী। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় হাসপাতাল চত্বরে। সোমবারের এই ঘটনায় হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। রাতে রোগীকে উদ্ধার করে ফের হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ।
দিন কয়েক আগে গাড়ি দুর্ঘটনায় আহত হয়ে SSKM-এর ট্রমা কেয়ার ইউনিটে ভর্তি হয়েছিলেন অশোকনগরের কল্যাণগড়ের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি। SSKM-এর ট্রমা কেয়ার ইউনিটে ভর্তি ছিলেন তিনি। সোমবার বেলা আড়াইটে নাগাদ হাসপাতাল থেকে গায়েব হয়ে যান তিনি। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, হাসপাতলর কম্বল, হাতে চ্যানেল নিয়েই হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন তিনি। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। কিন্তু ওই ব্যক্তির আর খোঁজ মেলেনি। ওদিকে বিকেলে তাঁর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
রাত ৯টা নাগাদ জানা যায়, বাড়িতে পৌঁছেছেন ওই ব্যক্তি। SSKM থেকে হেঁটে বাড়ি ফিরেছেন তিনি। যা সহজ বুদ্ধিতে মেনে নেওয়া মুশকিল। কারণ SSKM থেকে অশোকনগরের দূরত্ব প্রায় ৫৪ কিলোমিটার। সুস্থ মানুষের ওই পথ পায়ে হেঁটে পেরোতে অন্তত ১০ ঘণ্টা লাগার কথা সেখানে। অসুস্থ ব্যক্তির পক্ষে ৭ ঘণ্টায় ওই রাস্তা পার করা অসম্ভব।
ঘটনায় SSKM হাসপাতালকে কাঠগড়ায় তুলেছেন অশোকনগর কল্যাণগড় পুরসভার প্রশাসক অনুপ রায়। তিনি বলেন, ‘ঘটনার তদন্ত হওয়া দরকার। কী করে ওই ব্যক্তি কলকাতা থেকে অশোকনগর পৌঁছলেন তা খতিয়ে দেখা উচিত।’ সঙ্গে SSKM হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকেও প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছেন তিনি।