করোনার আতঙ্কে ৭ ঘণ্টা রাস্তায় পড়ে রইল মহিলার দেহ। সোমবার বালির হপ্তা বাজার এলাকার ঘটনা। মৃতের নাম রাজকুমারী জৈন। শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা নিয়ে সোমবার সকালে মৃত্যু হয় তাঁর। অভিযোগ, মৃত্যুর পর তাঁর দেহ আবাসনে ঢুকতে দেননি স্থানীয় বাসিন্দারা। ফলে রাস্তার ধারেই পড়ে থাকে দেহ।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রাজকুমারী দেবীর ছেলে ঋকের গত ১৭ জুন করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। এর পর কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। গত শুক্রবার পর্যন্ত ছেলের হাসপাতালেই ছিলেন তিনি। এর পর বাড়ি ফিরে শ্বাসকষ্টে ভুগতে শুরু করে প্রৌঢ়া।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে রাজকুমারী দেবীকে ঘুসুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁর স্বামী। সেখানে মহিলাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। কিন্তু দেহ ফেরত আনার পর ৯৭ বীরেশ্বর চট্টোপাধ্যায় স্ট্রিটের আবাসনের বাসিন্দারা দেহ আর বাড়িতে ঢুকতে দেননি। আবাসনের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা।
ফলে দেহ রাস্তার পাশে রেখেই সৎকারের আয়োজন শুরু করেন তাঁর স্বামী। এর পর স্থানীয়রা ফোনে বিষয়টি স্থানীয় থানা ও হাওড়া পুরসভাকে জানান। স্থানীয় বিদায়ী কাউন্সিলর প্রবীর চট্টোপাধ্যায়ের উদ্যোগে বেলা আড়াইটে নাগাদ দেহ পৌঁছয় হাওড়া জেলা হাসপাতালে। তবে মহিলার করোনাতেই মৃত্যু হয়েছে কি না সেব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে করোনা সংক্রমিত দেহের জন্য নির্দিষ্ট বিধিনিষেধ মেনে সৎকার করা হয় রাজকুমারী জৈনর দেহ।