ICMR NICED-এর পাঠানো ত্রুটিপূর্ণ। তাই করোনা পরীক্ষা করতে দেরি হচ্ছে। রবিবার সন্ধ্যায় এমনই অভিযোগ করা হল পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য দফতরের টুইটার হ্যান্ডেলে। সেখানে দাবি করা হয়েছে, ICMR-এর পাঠানো কিট ব্যবহার করে পরীক্ষা করলে অনেক সময় কোনও ফলই পাওয়া যাচ্ছে না। যার ফলে আবার পরীক্ষা করতে হচ্ছে। সমস্যার কথা স্বীকার করেছেন NICED –এর ডিরেক্টর শান্তা দত্ত।
রবিবার স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, ICMR এর পাঠানো করোনা পরীক্ষার কিটের একাংশ খারাপ। তা ব্যবহার করে পরীক্ষা করলে কোনও ফল (পজিটিভ বা নেগেটিভ) পাওয়া যাচ্ছে না। যার ফলে একই নমুনার ফের পরীক্ষা করতে হচ্ছে। এতে পরীক্ষা করতে অনেক সময় লেগে যাচ্ছে।
টুইটে আরও জানানো হয়েছে, আগে পুনের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ ভাইরোলজির পাঠানো কিটে এই সমস্যা ছিল। কন্তু ICMR-এর কিট নিয়ে দেশের সমস্ত পরীক্ষাগার একই সমস্যায় ভুগছে।
এবিষয়ে নাইসেড কলকাতার নির্দেশক শান্তা দত্ত জানিয়েছেন, ‘কিটগুলি দিয়ে পরীক্ষা করার আগে রাসায়নিক দিয়ে স্ট্যান্ডার্ডাইজ করতে হয়। কিন্তু আপদকালীন পরিস্থিতিতে NICED তা করার সময় পায়নি। পুনে থেকে আসা কিটগুলি আগে থেকে মজুত ছিল। তাই সেখান থেকে সেগুলিকে স্ট্যান্ডার্ডাইজ করে পাঠানো হয়েছিল। বিষয়টি আমরা দেখছি।’
বলে রাখি, চলতি সপ্তাহের শুরুতেই রাজ্য সরাকারের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন শান্তাদেবী। বলেছিলেন, ‘NICED কলকাতায় দিয়ে ১০০০টি নমুনা পরীক্ষার ক্ষমতা থাকলেও রাজ্য সরকার তত নমুনা পাঠাচ্ছে না। গত ৩ দিনে গড়ে ২০টি করেও নমুনা আসেনি নাইসেডে।’ এর পরই রাজ্যের বিরুদ্ধে পরীক্ষা না করিয়ে করোনারোগীর সংখ্যা লুকানোর চেষ্টার অভিযোগে সুর চড়ায় বিরোধীরা।
বিরোধীদের প্রশ্ন, কিটের সমস্যার কথা স্বাস্থ্য দফতর উপযুক্ত ভাবে তুলে ধরেছে। কিন্তু এই একই কিট তো গোটা দেশেই পৌঁছেছে। তাহলে মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান ২০,০০০ – ৩০,০০০ পরীক্ষা করালো কী করে?