কলকাতার এনআরএস হাসপাতালের হেমাটোলজি বিভাগে চিকিৎসারত অবস্থায় করোনা ধরা পড়ে কাকদ্বীপের বাসিন্দা রাজকুমার বেরার। এই মারণরোগকে হারিয়ে আর বেঁচে ফিরতে পারবেন কিনা সেই দুশ্চিন্তায় মানসিক অবসাদে ভুগতে থাকেন তিনি। আর তার জেরেই রবিবার আত্মহত্যার চরম সিদ্ধান্ত নিলেন বছর আটত্রিশের ওই যুবক। এমনই জানা গিয়েছে হাসপাতালের তরফ থেকে।
২৬ অগস্ট থেকে এনআরএস হাসপাতালের তিনতলায় হেমাটোলজি বিভাগে ভর্তি ছিলেন রাজকুমার। কয়েকদিন পরেই তাঁর জ্বর হয়। সঙ্গে ছিল শ্বাসকষ্টও। করোনা পরীক্ষা করানো হলে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এর পর থেকেই মনমরা হয়ে থাকতেন রাজকুমার।
রবিবার সকালে রাজকুমারকে অনেকক্ষণ দেখতে না পেয়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা তাঁর খোঁজ শুরু করেন। তখনই একজন লক্ষ্য করেন যে, রাজকুমারের বেড সংলগ্ন বাথরুমে দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। সেই দরজা ভেঙে রাজকুমারের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেন তাঁরা। পুলিশকে খবর দিলে তারা হাসপাতালে এসে দেহ ময়নাতদন্তে পাঠায়। কাকদ্বীপে রোগীর পরিবারকে এই ঘটনার খবর জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, কলকাতায় এই প্রথম কোনও হাসপাতালে করোনা রোগী আত্মঘাতী হলেন। এর আগে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এক রোগী আত্মহত্যার চেষ্টা করলেও নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের তৎপরতায় তা সফল হয়নি।