কলকাতা পুরনিগমে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ছড়িয়েছে যাদবপুর ও বেহালা এলাকায়। সম্প্রতি কলকাতা পুরনিগমের তরফে একটি পরিসংখ্যানে এমনই দাবি করা হয়েছে। এরপরেই শনিবার ওই ২ এলাকায় স্যানিটাইজেশনের কাজ করেছে পুরনিগমের আধিকারিকরা। পুরনিগমের সাম্প্রতিক রিপোর্টে চিন্তা বেড়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে।
কলকাতা পুরনিগমের রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, পুরনিগমের ১০,১১,১২,১৪ ও ১৬ নম্বর বোরোগুলিতে সংক্রমণের মাত্রা খুব বেশি।এই সব বোরোগুলি যাদবপুর ও বেহালা এলাকার মধ্যে পড়ে। রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই জোরকদমে কাজ শুরু করে দিয়েছে পুরকর্মীরা।পরিস্থিতি মোকাবিলায় একটি টিম তৈরি করা হয়েছে। সেই টিমে রাখা হয়েছে নিকাশি, স্বাস্থ্য, কঠিন বর্জ্য ম্যানেজমেন্টের একজন করে আধিকারিককে। অভিযোগ উঠেছে, ওই সব এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে স্যানিটাইজেশনের কাজ করা হয় না। বিশেষজ্ঞদের মতে, ওই সব এলাকায় যদি স্যানিটাইজেশনের কাজ ঠিকমতো করা হয়, তাহলে সংক্রমণের মাত্রা কিছুটা হলেও কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।জানা গিয়েছে, এলাকাগুলি দ্রুত স্যানিটাইজেশন করতে প্রয়োজনে বাইরের বোরো থেকে লোক লাগানো হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যে কলকাতা পুরনিগম এলাকায় করোনা মোকাবিলায় সেফ হোমের সংখ্যা আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যাঁদের শরীরে করোনার মৃদু উপসর্গ দেখা দিয়েছে, তাঁদের সেফ হোমে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, গত বছর রাজ্যে করোনা সংক্রমণের মাত্রা সবচেয়ে বেশি ছিল কলকাতায়।এরপরই ছিল উত্তর ২৪ পরগনার স্থান।ফের করোনা সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি রয়েছে কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনায়।উত্তর ২৪ পরগনার মতো কলকাতাতেও সংক্রমণের সংখ্যা তিন হাজারের ওপরে।