চব্বিশ ঘণ্টাও কাটল না। এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই গরুপাচার মামলায় বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে হাজিরার নির্দেশ দিল সিবিআই। সূত্রের খবর, আজ বিকেল ৫ টা ৩০ মিনিটের মধ্যে তাঁকে সিবিআইয়ের দফতরে হাজিরা দিতে বলেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
সূত্রের খবর, শুক্রবার সন্ধ্যায় এসএসকেএম থেকে অনুব্রত ছাড়া পাওয়ার পর সিবিআইয়ের কলকাতার অফিসের তরফে দিল্লিতে যোগাযোগ করা হয়। দিল্লির সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে শনিবার বিকেলের মধ্যে অনুব্রতকে তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইতিমধ্যে নিজাম প্যালেসে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে সিবিআই। চারজনের একটি দল গঠন করা হয়েছে। তৈরি হয়ে গিয়েছে প্রশ্নের তালিকা। দু'দফায় তৃণমূলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে একটি মহলের তরফে দাবি করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে সিপিআইএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর কটাক্ষ, গরুপাচার, বগটুই-সহ নানা ঘটনায় জড়িত আছেন অনুব্রত। সিবিআইয়ের হাজিরার নির্দেশ এড়িয়ে যাওয়ার জন্য সিঙ্গল বেঞ্চ এবং ডিভিশন বেঞ্চ করেছেন। তাতে লাভবান না হওয়ায় এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভরতি হয়েছিলেন। অনুব্রতের এত ভয় কীসের? নাকি নবান্ন পাচ্ছে? একইসুরে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের মন্তব্যে, অনুব্রত হয়ত বাঁচার চেষ্টা করছেন। সেটাই স্বাভাবিক। তবে তাঁর সময় শেষ হয়ে গিয়েছে। অনুব্রত নিজের দোষ বুঝতে পেরেছেন। তাই পালিয়ে যাচ্ছেন। যদিও তৃণমূলের দাবি, রাজনৈতিক কারণে তাঁকে ডাকা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গেরুয়া গেঞ্জি পরে SSKM ছাড়লেন অনুব্রত
তবে অনুব্রত আদৌও হাজিরা দেবেন কিনা, সে বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। শুক্রবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর চিনার পার্কের ফ্ল্যাটে উঠেছেন। আপাতত সেখানে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এমনিতে আগের পাঁচবার বিভিন্ন কারণ দর্শিয়ে হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন অনুব্রত।