আজ নারদ কাণ্ডে রাজ্যের দুই মন্ত্রী, এক বিধায়ক এবং তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ককে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। কিন্তু এই ইস্যুতে এবং বর্তমান প্রেক্ষাপটে কার্যত তৃণমূল কংগ্রেসের পাশে দাঁড়াল সিপিআইএম ও সিপিআই। সোমবার বামেদের এই দুই শরিক বিবৃতি প্রকাশ করে কার্যত সমর্থনই করেছেন। সিপিআইএমের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, করোনা মহামারিতে সারা দেশের মানুষের জীবন–জীবিকা বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। সেখান থেকে মানুষের নজর ঘুরিয়ে দিতেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সিপিআইয়ের পক্ষ থেকে বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে সিবিআইয়ের গ্রেফতারের ঘটনাকে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পরিষদ আচম্বিত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করেছে। সিপিআই রাজ্য সম্পাদক স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘সারা দেশের সঙ্গে এই রাজ্যও যখন ভয়াবহ কোভিড অতিমারির সঙ্গে জীবন–মরণ লড়াই চালাচ্ছেন, যখন সাধারণ মানুষের কেন্দ্র–রাজ্য সরকারের ঐক্যবদ্ধ সাহায্য ও সহযোগিতার প্রয়োজন, ঠিক তখনই আচমকা কোনও আগাম নোটিশ না দিয়ে দুই মন্ত্রী–সহ রাজ্য শাসকদলের তিনজন নেতা–সহ আরেকজন নেতাকে গ্রেফতার করা হল। এই ঘটনা অসময়োচিত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এই ঘটনা রাজ্যে অস্থিরতা সৃষ্টি করে কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপের জমি প্রস্তুত করার প্রচেষ্টা বলে সিপিআই মনে করে।’
সিবিআইএম বিবৃতি প্রকাশ করে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে। দীর্ঘ ১০ বছর ধরে চিটফান্ড কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত সকল অপরাধীদের বিচার ও লুণ্ঠিত মানুষের টাকা ফেরত দেওয়ার দাবি নিয়ে লড়াই করছি। নারদ কাণ্ড নিয়ে সাত বছরে বিজেপি সরকার এবং তাদের পরিচালিত সংস্থা কোনও কাজ করেনি। রাজনৈতিক ফায়দা তোলা ও দল ভাঙানোর জন্য কেলেঙ্কারি চাপা দিয়ে আসামীদের রক্ষাকবচ দিতে নিজেদের দলের নেতা বানিয়েছে। বিজেপির মনে রাখা উচিত সদ্য রাজ্যের মনুষ যে তাঁদের সরকারে চায় না, স্পষ্টভাবে সেই রায় দিয়েছেন। তবে মুখ্যমন্ত্রীও মনে রাখা উচিত এই রায় বিজেপির বিরুদ্ধে হলেও তৃণমূল কংগ্রেসের দুর্নীতি ও স্বৈরশাসনের পক্ষে ইতিবাচক রায় নয়।