রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী ঐক্যের প্রার্থী যশবন্ত সিনহা। সেখানে সিপিআইএম এই প্রার্থীকে সমর্থন করেছে। কিন্তু বঙ্গ–সিপিআইএম নেতারা কানাঘুষো মন্তব্য করতে শুরু করেছেন। এমনকী সিপিআইএমের রাজ্যসভার সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যও সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলেছেন। আর তারপরেই মুখে কুলপ দিতে নির্দেশ দিল সিপিআইএম কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সরাসরি একে গোপালন ভবন থেকে আলিমুদ্দিনকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
ঠিক কী নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব? একে গোপালন ভবন থেকে পাঠানো নির্দেশে বলা হয়েছে, ‘সাম্প্রদায়িক বিজেপিকে রুখতে নয়াদিল্লি থেকে গেরুয়া পতাকা মুছে দেওয়ার টার্গেট নিয়ে যেহেতু সব বিরোধী দলগুলি ঐকমত্যে পৌঁছেছে, তখন যেন পার্টির পশ্চিমবঙ্গ শাখা রাষ্ট্রপতি প্রার্থী নিয়ে ভিন্ন পথে না হাঁটে। নির্দল প্রার্থী যশবন্ত সিনহাকে সমর্থন করছে পার্টি। তবু প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা যশবন্তের বিরুদ্ধে কিছু বিরূপ মন্তব্য করা যাবে না।’ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী এই বিষযে সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘বিষয়টি সম্পূর্ণ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত। আমাদের কোনও মন্তব্য করা উচিত নয়।’
ঠিক কী বলেছেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য? রাষ্ট্রপতি প্রার্থী নিয়ে ভিন্ন মত সংবাদমাধ্যমে পোষণ করেছেন তিনি। সিপিআইএমের এই রাজ্যসভার সাংসদ বলেন, ‘পার্টি বিরোধী ঐক্যের প্রার্থী চেয়েছিল। কিন্তু প্রার্থী নির্বাচন ঠিক হয়নি। জাতীয়স্তরে বিরোধী ঐক্যের প্রশ্নে একটা অবস্থান নিতেই হতো। কিন্তু প্রার্থী বাছাইটা ঠিক হয়নি। আপাতত এটুকু বলতে পারি।’
কেন এই পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে? সূত্রের খবর, গত ১৬ জুন অবিজেপি দলগুলিকে নিয়ে বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে ছিল দুই বামপন্থী দল সিপিআইএম এবং সিপিআই। মমতাকে চিঠি দিয়ে বৈঠকে থাকার কথা আগাম জানান সীতারাম ইয়েচুরি। আর এতেই ক্ষেপে গিয়েছে আলিমুদ্দিন। সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে পশ্চিমবঙ্গের নেতাদের সঙ্গে কথা না বলায় সীতারাম ইয়েচুরির বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ করেন আলিমুদ্দিনের কর্তারা। তাই এই ফাটল দেখা দিয়েছে।